ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: দীর্ঘস্থায়ী খরায় দেশের বৃহত্তম হ্রদ শুকিয়ে যাওয়ায় কেন্দ্রীয় চীনা প্রদেশ জিয়াংসি প্রথমবারের মতো পানি সরবরাহে ‘রেড অ্যালার্ট’ ঘোষণা করেছে।
আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রাদেশিক সরকার শুক্রবার জানায়- পয়াং হ্রদে পানির স্তর গত তিন মাসে ১৯.৪৩ মিটার থেকে ৭.১ মিটারে নেমে এসেছে।
জিয়াংসি ওয়াটার মনিটরিং সেন্টারের আশংকা বৃষ্টির অভাবে আগামীতে পানির স্তর আরও কমে যাবে। এমনিতেই চলতি বছরের জুলাই থেকে এ পর্যন্ত হওয়া বৃষ্টিপাত গত বছরের তুলনায় ৬০ শতাংশ কম
চীন জুড়ে ২৬৭টির মতো আবহাওয়া দপ্তর গেল আগস্টে রেকর্ড তাপমাত্রা রিপোর্ট করেছে। অন্যদিকে ইয়াংজি নদীর অববাহিকা জুড়ে ভয়াবহ খরায় জলবিদ্যুৎ উৎপাদনও বাধাগ্রস্ত হয়েছে। চলতি মৌসুমে দেশটির ফসল উৎপাদনও উল্লেখযোগ্যহারে বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
যদিও ভারী বৃষ্টিপাতের কল্যাণে দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের বেশিরভাগ অঞ্চল খরা থেকে মুক্তি পেয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় অঞ্চলগুলো এখনো খরায় ভুগছে। যার মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে জিয়াংসিতে।
খবরে আরও বলা হয়, প্রতিবেশী প্রদেশ আনহুই-এর ১০টি জলাধারের অবস্থাও শোচনীয়। চলতি সপ্তাহেই স্থানীয় ওয়াটার ব্যুরো জানায়, এগুলোর পানির স্তর এতটাই নীচে নেমে গেছে যে, পানি ডাউনস্ট্রিমে (নীচ ভূমি) যাওয়ার ক্ষমতাই হারিয়ে ফেলেছে।
জিয়াংসি প্রদেশের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, চীনের দীর্ঘতম নদী ইয়াংজির মাঝামাঝি এবং নিম্ন প্রান্তে এখনও খরা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এখন ক্লাউড সিডিং (কৃত্রিমভাবে মেঘ সৃষ্টি করে বৃষ্টি নামানো) এবং অন্যান্য এলাকা থেকে পানি আনার প্রচেষ্টা চলছে।