রাজধানী ডেস্ক, আজনিউজ২৪: চার্চগুলোতে আলোকসজ্জা থাকলেও করোনায় এবার অনেকটা থমকে গেছে বড় দিনের উৎসবের রঙ। তারপরও বড়দিন উদযাপনে চার্চগুলো সেজেছে বর্ণিল সাজে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রার্থনায় অংশ নিয়েছেন যীশুখ্রিস্টের অনুসারীরা। মহামারি থেকে বিশ্ব যেন পরিত্রাণ পায় সেই প্রার্থনাই এবারের বড়দিনে ভক্তদের।
বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাতটায় তেজগাঁও চার্চে শুরু হয় যীশু প্রার্থনা। বিশেষ জপমালার মাধ্যমে যীশু খ্রীস্টকে স্মরণ করেন ভক্তরা। মহামারির প্রভাব থেকে বিশ্ব মুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার প্রার্থনা করেন সবাই।
চার্চে আসা এক যুবক বলেন, ‘সবাই যেন সুস্থ হয়ে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। এটাই বড় চাওয়া।’ একজন মহিলা বলেন, ‘সেই আগের মতো স্বাভাবিক হবে, আমরা আবার আগের মতো মিলেমিশে থাকব।’
বড় দিন উপলক্ষে চার্চগুলো সেজেছে উৎসবের বর্ণিল রঙে। চারদিকে রং আর আলোর খেলা। বাহারি রঙে সেজেছে ক্রিসমাস ট্রি। উৎসবের আয়োজনে কমতি নেই একটুও। তবে করোনার কারণে ভাটা পড়েছে উৎসবে। এক তরুণী বলেন, প্রতিবার এই উৎসবের জন্য আগে থেকেই অনেক প্রস্তুতি নেই। এবারও নিয়েছি কিন্তু সেটা বাসায় থেকে।’
উৎসবের লোকসমাগমে যেন করোনা ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য চার্চগুলোতে স্বাস্থ্যবিধির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। চার্চগুলোতে চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সিসিটিভি লাগানো আছে এবং প্রতিটা চার্চের পাশে সাদা পোশাকে আমাদের ডিএমপির লোক নিয়োগ করা হয়েছে।’ কাকরাইল চার্চের পুরোহিত ফাদার বিমল ফ্রান্সিস গোমেজ বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সব নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। মাস্ক বাধ্যতামূলক থাকবে। এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকবে।’
এদিকে, বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন হোটেলে নানা আয়োজন করা হয়েছে। হোটেল রেনেসাসে আলোকসজ্জার পাশাপাশি বিশেষ নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও ২৫ ডিসেম্বর সারাদিন থাকছে বিশেষ সব আয়োজন। সূত্র : সময় টিভি