রাজধানী ডেস্ক: “চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিটাকের প্রস্তুতি পর্যালোচনা” শীর্ষক সেমিনার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্রে (বিটাক)। সোমবার সকালে বিটাকের টুল অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউটের (টি টি আই) সেমিনার কক্ষে দিনব্যাপী এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতছিলেন বিটাকের মহাপরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী। সেমিনারে স্বাগতবক্তব্য রাখেন টি টি আই, বিটাকের পরিচালক ড. সৈয়দ মোঃ ইহসানুল করিম।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টালি খাতা ও শিওর ক্যাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. শাহাদাত খান এবং আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি ড. শামিম আহমেদ দেওয়ান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিটাকের মহাপরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, বর্তমান বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে আমাদের অবশ্যই চতুর্থশিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে। বর্তমান সরকার এই চ্যালেঞ্জকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করেছে। প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার সাথে সাথে পৃথিবী জুড়ে শিক্ষা, শিল্প, বাণিজ্য ও অর্থনীতিসহ জীবনের সর্বক্ষেত্রে যে পরিবর্তন ঘটছে,আমাদের সে পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণে সরকার বদ্ধপরিকর। তারই অংশ হিসেবে বিটাক এই সেমিনার আয়োজন করেছে। বিটাক ইতোপূর্বে এ ধরনের একাধিক সেমিনার আয়োজন করেছে।
তিনি আরও বলেন, এই সেমিনারে বিটাকের প্রকৌশলী,তথ্য-প্রযুক্তি খাতের সফল উদ্যোক্তা এবং বিশেষজ্ঞরা একত্রিত হয়েছেন। তারা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিটাকের প্রস্তুতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবেন।
সেমিনারের মূল বক্তা হিসেবে ড. শাহাদাত খান বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ধারণা অনেক বিস্তৃত। ইন্টারনেট অব থিংস, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স,মেশিন লার্নিং,অ্যাডভান্স রোবটিক্স, বিগডেটা, ক্লাউড কম্পিউটিং, সাইবার সিকিউরিটি, অগমেন্টেড রিয়েলিটি, ভার্চুয়্যাল রিয়েলিটি- এসব ধারণার সম্মিলন হচ্ছে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব। এর প্রতিটি ক্ষেত্রেই কাজের অনেক সুযোগ রয়েছে। বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তার নিরিখে নির্ধারণ করতে হবে কে কোন ক্ষেত্রে কাজ করবে।
তিনি আরও বলেন, এই বিপ্লবে অংশ নিতে প্রথমে নিজেদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রাধান্য পাবে দেশের তরুণ জনগোষ্ঠী। যারা মেধা ও উদ্দীপনার সমন্বয়ে নতুন প্রযুক্তিকে গ্রহণ করবে। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে করণীয় নির্ধারণ করতে হবে এবং সে অনুযায়ী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
সেমিনার সঞ্চলনা করেন বিটাকের পরিচালক ড. মো. জালালউদ্দিন, পিইঞ্জ। এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আহসান উল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালেয়র মেকানিক্যাল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আজিজুর রহমান, বিএমআইটি’র অতিরিক্ত পরিচালক মীর খাইরুল ইসলাম প্রমুখ।