ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলির’ প্রভাবে পটুয়াখালী জেলার আমন ধানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার (১৬ ও ১৭ নভেম্বর) সকাল থেকে ঝোড়ো হাওয়া আর মুষলধারে বৃষ্টিতে উপকূলীয় এলাকার অনেক জায়গায় আমন ও ইরি ধানের ক্ষতি হয়েছে।
পটুয়াখালী কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, জেলার ৮ উপজেলার প্রায় অনেক জমির রোপণকৃত আমন ও ইরি ফসল বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে। আমন ধান হেলে পড়েছে। বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ায় শীতের আগাম সবজিও ক্ষতির মুখে পড়তে শুরু করেছে।
কুয়াকাটা এলাকার কৃষক আল আমিন ফকির বলেন, আমাদের মাঠে এখন আমন ধান রয়েছে। এ সময় হঠাৎ ভারী বৃষ্টি ও বাতাসে ধান পানিতে হেলে পড়ছে। আর এতে করে আমাদের ধানের ব্যাপক ক্ষতি হবে। কারণ, ইতোমধ্যে অতি বৃষ্টিতে খেতে পানি জমে গেছে।
কলাপাড়ার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কৃৃষক মোস্তফা বলেন, এখন আমন ধানের মৌসুম। কিছু ধানে ফুল এসেছে, কিছু ধানে ফল এসেছে। এ সময়ে অতিবৃষ্টি ও বাতাসের কারণে ধানে চিটা ধরে যাবে। আবাদের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যে টাকা ব্যয় করেছি, তা আসে কিনা সন্দেহ।
পটুয়াখালী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, পটুয়াখালীতে এখন মাঠে ১ লাখ ৯১ হাজার ১১৯ হেক্টর জমিতে আমন ধান আছে। তার মধ্যে মাত্র ৫ ভাগ ক্ষেতের ধান পরিপক্ব হয়েছে। ঝোড়ো বাতাসের ফলে আমন ধানের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। যাদের ধান কাটার মতো হয়েছে, তাদের ধান কেটে ফেলতে বলা হয়েছে।
এদিকে, মহিপুর মৎস্য বন্দরের মাঝিসহ দুটি ট্রলার এখনো নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জেলে কামরুল হাসান। সেই সঙ্গে জেলার বিভিন্ন জায়গায় ঝোড়ো হাওয়ায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে প্রায় ১৪টি গ্রাম।