তরুণ প্রজন্মের পাশাপাশি সব বয়সী মানুষের কাছেই উন্মাদনার আরেক নাম বাইক। টু হুইলার এই যানটির প্রেমে মশগুল নারী-পুরুষ ছেলে বুড়ো সবাই। যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থেকে ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিয়েছেন বারবার। এজন্য দু চাকার যান বেছে নিয়েছেন অনেকেই। তাতেও রেহাই মিলছে না যানজটের ভোগান্তি থেকে।
তাহলে এবার নিতে পারেন উড়ন্ত বাইক। মিনিটেই পৌঁছে যাবেন গন্তব্যে। একদিকে সময়ও বাঁচবে, অন্যদিকে যানজট থেকেও রেহাই মিলবে। জাপানের বাজারে বহু আগেই উড়ন্ত বাইক এসেছে। এবার যুক্তরাজ্যের বাজারেও আস্তে চলেছে উড়ন্ত বাইক।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ডেট্রয়েট অটো শোতে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদর্শন করা হয় তৃতীয় প্রজন্মের এই উড়ন্ত বাইক। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘এক্সটুরিসমো’ হোভারবাইক। টেস্ট রান সম্পন্ন হলেও জাপানি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘এয়ারউইন্স’-এর হাত ধরে ২০২৩ সালেই যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে দেখা যাবে বলেই আশা করছে সংস্থাটি। আসবে বলে জানিয়েছে অটো শো কর্তৃপক্ষ।
জাপানের বাজারে বাইকটি এরই মধ্যে বিক্রি শুরু হয়েছে। জাপানের এই বাইকটির গতি ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার। এমনকি একবার পূর্ণ চার্জের পর একেকটি হোভারবাইক ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১০০ কিলোমিটার গতিতে ৪৯ মিনিট পর্যন্ত উড়তে পারবে।
তবে নতুন হোভারবাইকটি ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিবেগে একটানা ৪০ মিনিট পর্যন্ত চলতে পারবে। একজন যাত্রী পরিবহনে সক্ষম এই বাইকটির ওজন ৩০০ কেজি। এখন পর্যন্ত হোভারবাইক শুধু সড়কে চলতে আর আকাশে উড়তেই সক্ষম। বিশেষ করে দুর্গম এলাকায় বিভিন্ন দুর্যোগ ও দুর্ঘটনায় আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধারে উদ্ধারকর্মীরা উড়ন্ত বাইক খুবই কাজে আসবে বলেও মনে করছেন সংস্থাটি।
‘এক্সটুরিসমো’ হোভারবাইক এরই মধ্যে জাপানের বাজারে বিক্রি শুরু হলেও, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে এটির একটি ছোট সংস্করণ আসবে। হোভারবাইকটি প্রথম ধাপে অল্পসংখ্যক তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে চাহিদা অনুযায়ী এটি বাজারে আনার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছে এয়ারউইন্স।
ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৩ সালেই বাজারে পাওয়া যাবে এই হোভারবাইকটি। প্রাথমিকভাবে এর দাম ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৭৭ হাজার মার্কিন ডলার। তবে কোম্পানিটি ২০২৫ সালের মধ্যে এর একটি ছোট বৈদ্যুতিক মডেল আনবে। সেটির দাম থাকবে ৫০ হাজার মার্কিন ডলারের মধ্যে।