ন্যাশনাল ডেস্ক: গ্যাস সংকটে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ যমুনা সার কারখানায় ইউরিয়া উৎপাদন। এর মধ্যেই নতুন ভোগান্তি হিসেবে যোগ হয়েছে লোডশেডিং।
জামালপুরের একটি কারখানা থেকেই উত্তরবঙ্গসহ দেশের ২১ জেলার সার সরবরাহ করে প্রায় আড়াই হাজার ডিলার। কারখানা দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ থাকলে আসছে বোরো-আমন মৌসুমে সার সঙ্কটের শঙ্কা ব্যবসায়ীদের।
একজন ব্যবসায়ী বলেন, বোরো মৌসুমের আগে যদি এই কারখানাকে চালু না করা হয় তাহলে কৃত্রিম সংকট তো হবেই সেই সঙ্গে কৃষকের অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আরেকজন বলেন, উৎপাদন বন্ধ থাকায় একটি সিন্ডিকেট মহল বিদেশ থেকে নিম্নমানের সার আমদানি করে নিজেদের পকেট ভারী করছে।
উৎপাদন বন্ধ থাকায় চাহিদা মেটাতে কয়েকগুণ বেশি টাকায় সার আমদানি করতে হচ্ছে বিদেশ থেকে। এদিকে বেকার হয়ে পড়েছেন শত শত পরিবহন শ্রমিক-কর্মচারী ও চালক।
একজন ট্রাক চালক বলেন, আমার ট্রিপ না থাকার কারণে আমাদের জীবনযাপন করা অনেক কষ্ট হচ্ছে। যার ফলে অনেক ড্রাইভার এখান থেকে ঢাকা যাচ্ছে। আরেকজন বলেন, আমাদের বিদেশ থেকে সার আমদানি করতে হচ্ছে। প্রতি টনে ৮০ হাজার টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে সরকারকে। একদিকে সরকার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অন্যদিকে কারখানা বন্ধ থাকায় সংশ্লিষ্ট শ্রমিক-কর্মচারীরা বেকার হয়ে পড়ছে।
কবে নাগাদ কারখানা চালু হবে সে বিষয়ে কিছু বলতে পারেনি কারখানা কর্তৃপক্ষ।
যমুনা সার কারখানার মহাব্যবস্থাপক আব্দুল হাকিম বলেন, কতদিন বন্ধ থাকবে এটা সরকার বলতে পারবে এটা তো আমরা বলতে পারবো না।
ঢাকার তিতাস গ্যাসের বাল্ক কাস্টমার ম্যানেজার খাদেম কায়সার বলেন, সরকার যখনই গ্যাসটা রেগুলার করে দেবে তখনই আমরা রেগুলার দিতে পারবো।
১৭’শ মেট্রিক টন ইউরিয়া উৎপাদনক্ষমতার যমুনা সার কারখানায় প্রতিদিন প্রয়োজন হয় সাড়ে ৪ কোটি ঘনফুট গ্যাস। জ্বালানি সংকটে যা সরবরাহ করতে পারছে না তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।