গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবি জানিয়েছে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট। বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত বুধবার গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের হামলা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। এ হামলার মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের জনবিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসী চরিত্র আবারও জনগণের সামনে উঠে এসেছে।
বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সমন্বয়ক ও গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছায়েদুল হক নিশান, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি তামজিদ হায়দার চঞ্চল, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি দিলীপ রায়, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অমল ত্রিপুরা ও বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তাওফিকা প্রিয়া।
বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, প্রতিটি রাজনৈতিক দল যাতে নির্বিঘ্নে সভা-সমাবেশ করতে পারে, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব অন্তর্বর্তী সরকারের। কিন্তু সরকার এ ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। সামগ্রিকভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ হয়েছে।
বিবৃতিতে ছাত্র জোটের নেতারা বলেন, ‘এ সমাবেশ ঘিরে আগে থেকেই শঙ্কা ছিল। সকাল থেকেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকে। আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে লক্ষ করেছি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কার্যকর ভূমিকা পালন করেনি। বরং সহিংসতা বাড়লে পুরোনো কায়দায় গণহারে গুলিবর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় আটক করা ব্যক্তিকে গুলি করে ও বুট দিয়ে পিষে মৃত্যু নিশ্চিত করারও অভিযোগ উঠেছে, যা সুস্পষ্টভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন। তাই এ ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত প্রয়োজন।’
গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের নেতারা আরও বলেন, অপরাধী যেই হোক না কেন, তাঁর বিচার প্রাপ্তির অধিকার আছে। নির্বিচারে গুলি করা আর বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ফ্যাসিবাদী সংস্কৃতি পুনঃপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা দেশের কোনো গণতান্ত্রিক শক্তি সমর্থন করতে পারে না।