গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশে ঘিরে হামলা-সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহত তিজন হলেন—গোপালগঞ্জ শহরের সন্তোষ সাহার ছেলে দীপ্ত সাহা (২৫) ও কোটালীপাড়ার রমজান কাজী (১৮)। অন্য আরেকজনের পরিচয় তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।
বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জীবিতেষ বিশ্বাস বলেন, বিকেলে তিনজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তারা গুলিবিদ্ধ ছিলেন।
নিহতদের মধ্যে দুজনের পরিচয় নিশ্চিত করা গেলেও অপরজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে হাসপাতালের একজন কর্মী বলেন, অজ্ঞাত ওই ব্যক্তির মরদেহ স্বজনরা নিয়ে গেছেন।
হাসপাতালের কর্মকর্তা জীবিতেষ বিশ্বাস বলেন, আরও ৯ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাদের অস্ত্রোপচার চলছে।
নিহতের সত্যতা নিশ্চিত হতে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান ও পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমানকে কল দিলে তারা ধরেননি।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সংঘর্ষ ও হামলা-পাল্টাহামলার ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি করেছে সরকার।
বুধবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যায় প্রেস উইংয়ের পাঠানো বার্তায় এ কথা জানানো হয়। বার্তায় বলা হয়, আজ বুধবার রাত ৮টা থেকে পরবর্তী দিন (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে।
এর আগে, বিকেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গোপালগঞ্জ সদরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এদিন বিকেলে গোপালগঞ্জে সভা শেষে ফেরার পথে এনসিপির গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় গোপালগঞ্জ শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
এরপর এনসিপির শীর্ষ নেতারা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে গিয়ে অবস্থান নেন। পরে সেনাবাহিনীর ট্যাঙ্কে করে নিরাপদে তাদের সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।