আইন ও আদালত ডেস্ক: গুলশান থানায় মাদক, বিশেষ ক্ষমতা এবং পল্লবী থানায় প্রতারণার আইনের মামলায় আওয়ামী লীগের বহিষ্কার নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীর জামিন পেয়েছেন। মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েস এ জামিন মঞ্জুর করেন।
তবু মুক্তি পাচ্ছেন না হেলেনা। কারণ, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জামিন পাননি তিনি। এদিন এ নিয়েও শুনানি হয়। কিন্তু তা নামঞ্জুর করেন আদালত।
পল্লবী থানায় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গত ১৭ আগস্ট জামিন পান হেলেনা। এখন পর্যন্ত চার মামলায় তিনটিতে জামিন পেয়েছেন তিনি।
গত ২৯ জুলাই রাতে গুলশান-২ এ হেলেনার বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। পরে তাকে আটক করা হয়। এরপর তার মালিকানাধীন জয়যাত্রা টেলিভিশন কার্যালয়ে অভিযান চালায় র্যাব। পরে তারা জানায়, বৈধ কাগজপত্র ছাড়া চলতো এটি। এজন্য সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ করেন হেলেনা। প্রবাসী প্রতিনিধি নিয়োগের নামে অর্থ হাতিয়ে নেন তিনি।
পরের দিন (৩০ জুলাই) হেলেনাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল প্লাটফর্মে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা এবং ব্যক্তির মানহানির অভিযোগ আনা হয়।
এর আগে জুলাইয়ে ‘বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ’ নামে এক সংগঠনের পোস্টার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি হেলেনা এবং সাধারণ সম্পাদক মাহবুব মনিরের নাম উল্লেখ করা হয়।
পরে আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য পদ হারান হেলেনা। এরপর তার বিরুদ্ধে মামলায় কয়েক দফা তাকে রিমান্ডে নেয় পুলিশ।