কেয়া বেতন ও ভাতা বৃদ্ধিসহ নানা দাবিতে গাজীপুরে আজও বিক্ষোভ করেছে শ্রমিকরা। এতে বন্ধ হয়ে যায় সড়কের উভয় পাশের যান চলাচল। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েন অফিসগামীসহ কর্মস্থলে ছুটে চলা মানুষ।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে মৌচাক এলাকায় কোকোলা ফুড কারখানার শ্রমিকেরা কাজে যোগ না দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। একপর্যায়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক বিক্ষোভ করতে গেলে তাদের সরিয়ে দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এছাড়া টঙ্গীতেও সিজন জেসেস লিমিটেডের শ্রমিকেরাও বিক্ষোভ করে। তবে যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় মোতায়েন রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অন্যদিকে নানা কারণে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় বন্ধ রয়েছে অর্ধশত কারখানা।
শ্রমিকরা জানায়, গার্মেন্টসের মালিকপক্ষ গত তিন মাস ধরে বেতন দিচ্ছে না। বাকি রয়েছে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের ওভারটাইমের টাকা। এছাড়া তিন বছরের ছুটির টাকাও বকেয়া। বারবার আশ্বাস দিয়েও তারা শ্রমিকদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।
এদিকে বকেয়া বেতনের দাবিতে টঙ্গীর পশ্চিম থানার খাঁ পাড়া এলাকায় অবস্থিত সিজন ড্রেসেস লিমিটেড নামের পোশাক কারখানার শ্রমিকরা সকালে কারখানার সামনে গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জুলাই ও আগস্ট মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে তারা। একপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অন্যদিকে সদর উপজেলার বাঘের বাজার এলাকায় মন্ডল গ্রুপের একটি কারখানার শ্রমিকেরাও সোমবার সড়ক অবরোধ করে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ বিষয়ে গাজীপুর শিল্প পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন জানান, শ্রমিকদের সঙ্গে মালিকপক্ষের যোগাযোগের পর অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।