গাজার সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র নাসের হাসপাতাল জ্বালানি সংকটে পড়ে চূড়ান্ত মুহূর্তে রয়েছে বলে জানায়। তারা জানায়, “জ্বালানির মিটার শূন্যের কাঁটায় চলে আসছে, চিকিৎসকরা এখন মৃত্যুর সঙ্গে রেসে নেমেছেন।”
তাপমাত্রায় ঘেমে একাকার অবস্থায়, ক্ষুধা ও ক্লান্তিতে জর্জরিত শরীর নিয়ে চিকিৎসকরা অপারেশন থিয়েটারে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা বলছেন, “আমরা ক্লান্ত, কিন্তু আমাদের চোখে এখনো আশার আলো জ্বলছে।”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানায়, ২০২৩ সাল থেকে গাজায় স্বাস্থ্যসেবায় ৬০০-এরও বেশি হামলা হয়েছে। বর্তমানে মাত্র ১৮টি হাসপাতাল আংশিকভাবে চালু আছে।
গাজা সিটির তুফ্ফাহ এলাকায় ইসরায়েল ২০টির বেশি বোমা ফেলে। এগুলোর মধ্যে ‘ভূমিকম্প বোমা’ও ছিল, যা পুরো এলাকা কাঁপিয়ে দেয়।
উত্তর গাজার বেইত হানুন এলাকাতেও বড় ধরনের হামলা চালানো হয়, যেখানে সম্প্রতি হামাসের হামলায় পাঁচ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়। ইসরায়েল বারবার উত্তর গাজার বাসিন্দাদের সরে যেতে বলছে, কিন্তু বারবারই ওই অঞ্চল লক্ষ্য করে ভয়াবহ হামলা চালানো হচ্ছে।
শাতি শরণার্থী ক্যাম্পে বুধবার রাতে হামলায় অন্তত ৩০ জন নিহত হয়। মোহাম্মদ জউদা বলেন, “আমরা বাসায় ছিলাম, রাত আনুমানিক বারোটা। হঠাৎ সবকিছু ধসে পড়ে। বাড়ির নিচে আটকা পড়ে যায় শিশু, বৃদ্ধ সবাই।”
অন্য এক বেঁচে ফেরা মানুষ, ইসমাইল আল-বারদাউইল বলেন, “পুরো একটা মহল্লা ধ্বংস হয়ে গেছে। সাতটা ছোট শিশু মারা গেছে, আরেক পাশে ১০টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুধু একজন বৃদ্ধ ছিলেন। ওদের অপরাধ কী?”