ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি বাহিনীর চালানো বর্বরোচিত হামলার শুরু থেকেই একতরফা সমর্থন দিয়ে এসেছে তেল আবিবের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। সমর্থন জানাতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সরাসরি দেখা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তেল আবিবের স্বপক্ষে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনও। তবে এক মাস পর গত শুক্রবার ব্লিঙ্কেনের কণ্ঠে বাজে ভিন্ন সুর। প্রথমবারের মতো অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলায় নিহত ব্যক্তিদের প্রতি শোক প্রকাশ করেন তিনি। খবর সিএনএন।
তেল আবিবের পক্ষে ওয়াশিংটনের শুরু থেকে যেভাবে কথা বলে আসছে, তাতে স্পষ্টতই পরিবর্তনের ইঙ্গিত ব্লিঙ্কেনের এই দুঃখ প্রকাশ। তার এমন অবস্থান পরিবর্তনের পেছনে কারণও রয়েছে। গাজায় দিন দিন বাড়তে থাকা লাশের সারি, বিশ্বজুড়ে ইসরায়েলি হত্যাযঞ্জের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ এবং হোয়াইট হাউসের অভ্যন্তরে বাড়তে থাকা অসন্তোষ মার্কিন প্রশাসনের ইসরায়েলপন্থী অবস্থানের ওপর চাপ তীব্রতর করে।
এদিকে, মধ্যপ্রাচ্য সফর শেষে শুক্রবার ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘অনেক বেশি সংখ্যক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে। বিগত কয়েক সপ্তাহে অনেক বেশি ফিলিস্তিনি ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। তাদের ক্ষয়ক্ষতি রুখতে যা যা সম্ভব তার সবকিছুই করতে চাই। একই সঙ্গে তাদের কাছে পৌঁছানো সহায়তার পরিমাণ বাড়াতে চাই। এই লক্ষ্যগুলো সামনের দিকে এগিয়ে নিতে আমরা তেল আবিবের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাব।’
গত ৭ অক্টোবর শনিবার ভোর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ১১ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এরপরও উপত্যকাটিতে হামলার তীব্রতা কমাচ্ছে না ইসরায়েলি বাহিনী। গত কয়েক দিনে গাজার বিভিন্ন হাসপাতালেও নিশানা করছে তারা। বাদ পড়ছে না শিশু হাসপাতালও। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার নেতানিয়াহু সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, হামাস জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত গাজায় কোনো যুদ্ধবিরতি দেওয়া হবে না। সেদিন ইসরায়েল থেকে হামাস যোদ্ধারা দুই শতাধিক মানুষকে ধরে নিয়ে গাজায় জিম্মি করে।