ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় কামাল আদওয়ান হাসপাতালের কাছে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় পাঁচ ডজন মানুষ নিহত হয়েছে। ওই হামলার পর হাসপাতালের পরিচালক আহমেদ আল-কাহলোত জানিয়েছেন, হাসপাতালের আশেপাশের পরিস্থিতি “বিপর্যয়কর”। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন সহস্রাধিক মানুষ।
বুধবার (২২ নভেম্বর) কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা কাহলোতের বরাত দিয়ে বলছে, ‘‘হাসপাতালের আশেপাশের সব জায়গায় ইসরায়েলি বাহিনীর গোলাগুলি এবং বোমাবর্ষণ বাড়ছে। অনেক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমাদের মনে রাখতে হবে এই হাসপাতালটি এখন ওয়াদি গাজা থেকে উত্তর গাজা পর্যন্ত মাত্র একটি অপারেটিং হাসপাতাল।
তিনি বলেন, গত রাত থেকে হাসপাতালটিতে ৬০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় এক হাজার বেসামরিক নাগরিক।
চিকিৎসকেরা খুব ক্লান্ত জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের কাছে এক ফোঁটাও জ্বালানি নেই। আমরা হ্যান্ডহেল্ড সার্চলাইট ব্যবহার করে অন্ধকারে কাজ করছি। অস্ত্রোপচারের অভ্যাসকারী নয় এমন ডাক্তাররা গর্ভবতী মহিলাদের সি-সেকশন করতে বাধ্য হচ্ছে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত সার্জনের অভাবে আহতদের অঙ্গ কেটে ফেলতে হচ্ছে।
এদিকে উত্তর গাজায় লড়াইয়ের সময় ইসরায়েলের একজন ইউনিট কমান্ডার নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে আল জাজিরা বলছে, নিহত ওই কমান্ডার গোলানি ব্রিগেডের সদস্য ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ভয়াবহ হামলা করে হামাস। তাদের ওই হামলার জবাবে ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। প্রথমে আকাশ ও পরে ১৬ অক্টোবর থেকে স্থল অভিযান শুরু করে তারা। ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে গাজায় নিহতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ১৪ হাজার ছাড়িয়েছে।