বৃহস্পতিবার সকালে ৭০তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি বলেন, “যারা সার্টিফিকেট পেলেন তাদের আমার আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। আপনাদের জীবন সুন্দর হোক, সফল হোক। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আপনাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করুন।”
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ভিত্তি তৈরি করে দিয়ে গেছেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমরা কিন্তু পদক্ষেপ নিচ্ছি।”
স্বাধীনতার পর জাতির পিতা প্রশাসনিক সংস্কারের মাধ্যমে স্বাধীন দেশ ও সমাজের উপযোগী সিভিল সার্ভিস গঠনের আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছিলেন এবং সেভাবে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন জানিয়ে তার এক ভাষণ উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, “তিনি বলেছিলেন- ‘আপনি চাকরি করেন। আপনার মাইনে দেয় ওই গরিব কৃষক। আপনার মাইনে দেয় ওই গরিব শ্রমিক। আপনার সংসার চলে ওই টাকায়। আমি গাড়ি চড়ি ওই টাকায়। ওদের সম্মান করে কথা বলেন। ওদের ইজ্জত করে কথা বলেন। ওরাই মালিক’।
“আজকে যারা নবীন কর্মচারীরা প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, তাদের কিন্তু এই কথাটাই মনে রাখতে হবে যে, এই দেশের গরিব মানুষগুলো বা এখনও যারা সেই তৃণমূলে পড়ে আছে, তারা এই দেশের মালিক। আর তাদেরই ঘর থেকে কিন্তু আজকে সবাই লেখাপড়া শিখে উঠে এসেছেন। কাজেই সেইদিকে লক্ষ্য রেখেই তাদের সেবা করাটা হবে সব থেকে বড় দায়িত্ব।”
আওয়ামী লীগ সরকার কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের এইটুকু মনে রাখতে হবে যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে কিন্তু সেই ট্রেনিং থেকে শুরু করে সবকিছুই আমাদের নতুনভাবে নিতে হবে। অর্থাৎ বিশ্বের সাথে আমাদের সব সময় তাল মিলিয়ে চলতে হবে। সেই কথা মাথায় রেখেই আমরা ইতিমধ্যে পদক্ষেপ নিয়েছি।”
আওয়ামী লীগ সরকারে থাকা অবস্থায় সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন বৃদ্ধি পেয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “শুধু বেতন বাড়ানো না, অন্যান্য সুযোগ সুবিধাও দিয়েছি। কারণ যারা কাজ করবেন তাদের যদি সংসারে টানাটানিই থাকে তাহলে আবার দেশের জন্য কাজ করবেন কিভাবে, মানুষের জন্য কাজ করবেন কিভাবে। সেই কথাটা বিবেচনায় রেখেই সকলের বেতন-বোনাস যেমন বাড়িয়েছি, পাশাপাশি সকলকে আমরা ব্যাংকের স্বল্পসুদে ঋণ দিচ্ছি যাতে ফ্ল্যাট বা বাড়ি তৈরি করতে পারে অথবা গাড়ি ক্রয় করতে পারে। বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করে দিয়েছি এবং চিকিৎসার জন্য আলাদা হাসপাতাল তৈরি করে দিয়েছি।
“আমরা চাই যে আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হয়েই আমাদের কর্মচারীরা দেশের সেবা করবে, জনগণের সেবা করবে। সেটাই আমার লক্ষ্য।”
মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে মন্তব্য করে বিচার না পাওয়ার কষ্টের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।
তথ্যসূত্রঃ বিডিনিউজ২৪