ইকোনোমিক ডেস্ক: পুরোনো এলসির বিপরীতে গম রপ্তানির কথা বললেও এ বিষয়ে আজ পর্যন্ত সঠিক কোনও সিদ্ধান্ত দেয়নি ভারতীয় কাস্টমস। ফলে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে খাদ্যপণ্যটি আমদানি বন্ধ রয়েছে। এতে অনেক আমদানিকারক বিক্রি না করে গম গুদামে মজুদ করছেন। তাই গমের দাম বেড়েই চলছে। প্রতি কেজির দর ৩৪ থেকে বেড়ে বর্তমানে ৪১/৪২ টাকায় উঠেছে দাম।
বাংলা হিলি কাস্টমস সিএন্ড এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি আবদুর রহমান লিটন বলেন, দেশের ফ্লাওয়ার মিলগুলোর গমের চাহিদা মিটতো ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকে আমদানি করে। কিন্তু যুদ্ধ লাগায় ওই দুই দেশ থেকে গম আমদানি বন্ধ রয়েছে। বিকল্প হিসেবে ভারত থেকে ভোগ্যপণ্যটি আমদানি করছিলেন বন্দরের ব্যবসায়ীরা। যা ঢাকা, বগুড়া, সিলেট, ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন ফ্লাওয়ার মিলগুলোতে সরবরাহ করছিলেন।
তিনি বলেন, কিন্তু গত শুক্রবার নিজ দেশে গমের সরবরাহ বৃদ্ধি ও মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাংলাদেশে গম রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত। এতে শনিবার সকাল থেকে বন্দর দিয়ে তা আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। পরে ১২ মে’র মধ্যে খোলা এলসির বিপরীতে খাদ্যপণ্যটি রপ্তানির কথা বললেও সে বিষয়ে সঠিক কোনও সিদ্ধান্তও জানাচ্ছে না। তাছাড়া আইন অনুযায়ী, এলসির টেন্ডারকৃত গম দেয়ার বিধান থাকলের ভারত তা দিতে গড়িমসি করছে।
আমদানিকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ভারতের গম রপ্তানি বন্ধের পাশাপাশি টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন আমদানিকারকরা। তেমনি বিপাকে পড়েছেন বন্দরে গম কিনতে আসা পাইকাররা।
হিলি পানামা পোর্ট লিঙ্কের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক জানান, ভারত গম রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। পুরোনো এলসির মধ্যে যে পরিমাণ টেন্ডার হয়েছে, সেগুলো থেকে মাঝে মধ্যে কিছু আসছে। গমের আমদানি কমায় আয় কমে বিপাকে পড়েছেন শ্রমিকরা।