ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: ইউক্রেনের খেরসনে গত শুক্রবার ব্যাপক গোলাবর্ষণ করেছে রুশ বাহিনী। এতে সেখানে ১৫ জন নিহত হয়েছেন। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। এদিকে দেশটিতে গত সপ্তাহে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিদ্যুৎ অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দেশটির অনেক অঞ্চল বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া দেখা দিয়েছে পানি ও গ্যাসের সংকট। দেশটির প্রকৌশলীরা অবকাঠামো মেরামতে কাজ করছেন।
কয়েক সপ্তাহ ধরে ইউক্রেনে হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে রুশ বাহিনী। বিশেষ করে, দেশটির জ্বালানি অবকাঠামো খাত লক্ষ্য করে চালানো এ হামলায় অনেক অঞ্চলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দেশটির আসন্ন শীত মৌসুমে অনেক জায়গায় তাপমাত্রা শূন্যে নেমে গেছে। এ পরিস্থিতিতে জ্বালানি, বিদ্যুৎ, খাবার পানির সংকট জনজীবনে দুর্ভোগ বাড়ানোর শঙ্কা সৃষ্টি করেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ৬০ লাখের বেশি মানুষ এখনো বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছেন। এর আগে দেশটির জাতীয় জ্বালানি পরিচালন প্রতিষ্ঠান ইউক্রেনগো বলেছে, দেশটির বিদ্যুৎ গ্রিডের ৩০ শতাংশ এখনো ঠিক হয়নি। তা মেরামতের কাজ চলছে।
এদিকে শুক্রবার ইউক্রেনের খেরসনে রুশ বাহিনীর গোলাবর্ষণকে সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে। খেরসন শহরের কর্মকর্তা গ্যালিনা লুগোভা বলেন, গোলাবর্ষণে ১ শিশুসহ ১৫ বাসিন্দা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩৫ জন।
খেরসনের আরেক কর্মকর্তা বলেন, হামলায় বেসামরিক লোকজনের ঘরবাড়ি ও উঁচু ভবনগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। বিভিন্ন রকেট লঞ্চার ব্যবহার করে হামলা চালানো হয়েছে। তাতে বড় একটি ভবনে আগুন ধরে যায়।
খেরসন সিটি কাউন্সিল বলেছে, রুশ গোলাবর্ষণে শহরের হাসপাতাল থেকে রোগী অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বেসামরিক লোকজনকেও সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্ররা বলছে, দেশটির জ্বালানি অবকাঠামোয় রুশ হামলা যুদ্ধাপরাধ। যুদ্ধক্ষেত্রে রুশ বাহিনীর হোঁচট খাওয়ার মুখে ইউক্রেনের বিভিন্ন অবকাঠামোয় হামলার পথ বেছে নিয়েছে তারা। মস্কোর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তারা কেবল সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। তারা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করার জন্য কিয়েভকেই দায়ী করেছে। এ ছাড়া মস্কো বলেছে, তাদের শর্তে একমত হলেই কেবল এ দুর্ভোগ কমতে পারে।
এ পরিস্থিতিতে যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা যত দিন লাগবে, তত দিন ইউক্রেনের পাশে থাকবে।