খুলনা, ৪ নভেম্বর, এইউজেডনিউজ২৪, এইউজেডনিউজ২৪ : খুলনায় প্রায় শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়েছে ‘সেফ গ্রুপ লিমিটেড’ নামক একটি প্রতিষ্ঠান। মাসিক মুনাফা ভিত্তিক (এফডিআর) সঞ্চয়, সেফ ইসলামী ব্যবসায়ী কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড, ফ্ল্যাট-জমি ক্রয় এবং ড্রিংকিং ওয়াটারসহ বিভিন্ন প্রকল্পে বিনিয়োগের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রতিষ্ঠানটি এই টাকা হাতিয়ে নেয়। অক্টোবরের লভ্যাংশ নিতে প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মকর্তাকে না পেয়ে শনিবার দিনভর নগরীর বয়রাস্থ গ্রিন টাওয়ারে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন শত শত গ্রাহক।
ক্ষুব্ধ গ্রাহকদের অভিযোগ, ‘সেফ গ্রুপ’ খুলনার বিভিন্ন এলাকায় অফিস নিয়ে ১০ সহস্রাধিক গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় শত কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করে এর কর্তৃপক্ষ আত্মগোপন করেছে। গত ১৫ দিন ধরে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান চরমোনাই পীরের মুরিদ ডা. মোখতার হোসাইন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোখতার হোসাইনের ছেলে ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন ও পরিচালক অপর ছেলে আব্দুল্লাহ মাহমুদ ফয়সাল, পরিচালক ইসমাইল হোসেন বাবু, সপরিবারে নিরুদ্দেশ রয়েছেন। যে কারণে গ্রাহকরা লভ্যাংশ দূরের কথা, এখন সারা জীবনের কষ্টার্জিত সঞ্চয়ও ফিরে পাবেন কি-না তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন।
গ্রাহক মো. কামরুজ্জামান বলেন, তিনি ৩ বছর মেয়াদে ১০ লাখ টাকা রেখেছেন। প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা লভ্যাংশ পেতেন। এখন মূলধনের কি হবে?। প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারী শান্তুনু শিকদার ও রেজাউল করিম বলেন, গত ২৬ অক্টোবর থেকেই কোনো কর্মকর্তা অফিসে আসছেন না। তারা ভারতে যাওয়ার কথা বলে নিরুদ্দেশ হয়েছেন। এছাড়া হিসাব রক্ষক রিপন বাবু, প্রশাসনিক কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান ও অপর পরিচালক এসএম রাজুল হাসান রাজুও অফিসে আসছেন না। যে কারণে তারা গ্রাহকদের কোনো লভ্যাংশ দিতে পারছেন না।
সোনাডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, বিক্ষোভের খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না ঘটিয়ে এ বিষয়ে তিনি আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানান। এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেফ গ্রুপের নিজস্ব ভবন গ্রিন টাওয়ার এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুনের বাসভবন বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে দায়বদ্ধ রয়েছে।