স্থানীয় লোকজন ও জেলেরা জানান, গত ৮ জুলাই ডুমুরিয়ার মঠবাড়িয়া গ্রামের জেলে মহিতোষ ভদ্রা নদীতে মাছ ধরতে যান। এ সময় একটি কুমির তার নৌকায় হামলা করে। পরে মহিতোষ ও তার সহযোগী জেলেরা জাল ফেলে রেখে দ্রুত নৌকা নিয়ে তীরে চলে আসেন। একই দিন দুপুরে নাসিমা বেগম নামে এক নারী তার বোনের ছেলে রাব্বিকে নিয়ে নদীতে পানি আনতে গেলে নদীর কিনারায় একটি কুমির ভাসছে দেখেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে শত শত মানুষ কুমির দেখতে নদীর তীরে জড়ো হয়।
শোভনা গ্রামের শেখ এরশাদ আলী বলেন, কয়েক দিন ধরে ভদ্রা নদীতে কুমির দেখা যাচ্ছে। জিয়েলতলা এলাকায় নদীর তীর থেকে একটি ছাগলও নিয়ে গেছে কুমির।
ভদ্রাদিয়া গ্রামের জেলে হেলাল উদ্দিন জানান, মাছ ধরার জন্য তিনি তীরমুনি এলাকায় গেলে সেখানে দুটি কুমির ভাসমান অবস্থায় দেখতে পান। আতঙ্কে তিনি জাল-নৌকা ফেলে রেখে স্থানীয় লোকজনকে খবর দেন। খবর পেয়ে লোকজন নদীর তীরে ছুটে গিয়ে কুমির দেখতে পায়।
ডুমুরিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, খবর পেয়ে তিনি নিজে গিয়ে নদীতে কুমির দেখেছেন। তাদের ধারণা বঙ্গোপসাগর থেকে দলছুট হয়ে এ কুমির নদীতে প্রবেশ করেছে। সে জন্য জেলে ও স্থানীয় লোকজনকে সচেতন করা হয়েছে।