শেষ দুই ওভারে গায়ানা ওয়ারিয়র্সের দরকার ছিল ২০ রান। হাতে ৩ উইকেট। ক্রিজে ডেভিড ভিসা ও ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস। বোলিংয়ে রংপুর রাইডার্সের পেসার খালেদ আহমেদ। ১৯তম ওভারে প্রথম ৪ বলে খালেদ রান দিলেন ১১। তখন ম্যাচ মোটামুটি গায়ানার পকেটে।
কিন্তু এমন পরিস্থিতিতেই গায়ানা হারিয়েছে টানা ৩ বলে ৩ উইকেট! তাতে আজ গ্লোবাল সুপার লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৮ রানের জয় পায় রংপুর। গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে নুরুল হাসানের দলের ১৬২ রান তাড়া করতে নেমে গায়ানা গুটিয়ে যায় ১৫৪ রানে।
খালেদ ১৯তম ওভারের শেষ দুই বলে উইকেট নেন। সেই ওভারে তাঁর চতুর্থ বলে ছক্কা মারা প্রিটোরিয়াস পঞ্চম বলে বোল্ড হন। শেষ বলে শামার স্প্রিঙ্গারকে এলবিডব্লু করেন খালেদ। আজমতউল্লাহ ওমরজাই ২০তম ওভারে প্রথম বলে ভিসাকে বোল্ড করলে ৮ রানের জয় পায় রংপুর। এর আগেও ম্যাচ গায়ানার হাতেই ছিল। ১৬২ রান তাড়া করতে নামা গায়ানা ৬ ওভারে ১ উইকেটে করে ৪৯ রান। দলটি ১৪ ওভারে তোলে ৪ উইকেটে ১২৫। তখনো হাতে ৬ উইকেট, রান দরকার ৩৬ বলে ৩৮।
ক্রিজে ছিলেন শেরফানে রাদারফোর্ড ও শিমরন হেটমায়ার। এমন সহজ সমীকরণ দলটির বড় তারকারা মেলাতে পারেননি। এখানেও বড় অবদান খালেদের। হেটমায়ার ও রাদারফোর্ড দুজনকে আউট করেন। ৪ ওভারে ৩৬ রানে ৪ উইকেট নেওয়া খালেদই হয়েছেন ম্যাচসেরা। টসে জিতে আগে ব্যাটিং করা রংপুর রাইডার্সের দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও সৌম্য সরকার খেলেছেন ওয়ানডে স্টাইলে। ৪৭ বলে গড়েছেন ৪৯ রানের জুটি। সাইফ করেন ১৮ বলে ১৮, সৌম্য ৩৬ বলে ৩৫। রংপুরের ইনিংসে টি-টোয়েন্টি ধাঁচটা নিয়ে আসেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাইল মায়ার্স। ৩১ বলে অপরাজিত ৪৪ রান করেন এই বাঁহাতি।
রংপুর ১৬২ রান তুলতে পেরেছে মায়ার্সের সঙ্গে নুরুল হাসান ও ইফতিখার আহমেদের জুটিতে। নুরুল করেন ১০ বলে ১৮ রান। মায়ার্সের সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটে ৪৩ বলে ৭৬ রানের জুটিতে ইফতিখারের অবদান ২১ বলে ৩৪ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
রংপুর: ২০ ওভারে ১৬২/৫ (মায়ার্স ৪৪*, ইফতিখার ৩৪*; তাহির ২/২১, মোতি ২/৩২)
গায়ানা: ২০ ওভারে ১৫৪ (চার্লস ৪০, মঈন ২৭; খালেদ ৪/৩৬, ওমরজাই ২/১৩)
ফল: রংপুর ৮ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: খালেদ আহমেদ