আবহাওয়ার পরিবর্তণ ডেস্ক: কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ঢাকায় রেকর্ড করা হয় ৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত। আর সেই সাথে জলজট আর যানজটে নাকাল রাজধানীবাসী। বিভিন্ন সড়কে হাঁটুপানি ওঠায় যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যানবাহন না পেয়ে নোংরা, দুর্গন্ধযুক্ত পানি মাড়িয়ে গন্তব্যে ছুটতে দেখা গেছে অফিসগামী মানুষকে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ঢাকায় ৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এদিকে জলাবদ্ধতার জন্য খাল দখল হয়ে যাওয়াকেই দুষলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র।
মাত্র ঘণ্টা তিনেকের বৃষ্টি। আর তাতেই অলি-গলি তো বটেই, রাজধানীর রাজপথও পানিতে তলিয়ে গেছে।
মঙ্গলবার ভোর থেকে শুরু হওয়া মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতে যারাই ঘর থেকে বের হয়েছেন তাদেরকেই পড়তে হয়েছে বিপাকে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে অফিসগামী মানুষ। পাড়া-মহল্লার ময়লা, দুর্গন্ধযুক্ত পানি মাড়িয়ে প্রধান সড়কে পৌঁছেও যানবাহনের সংকটে গন্তব্যে পৌঁছাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে তাদের। কেউ কাকভেজা হয়ে পায়ে হেঁটেই গন্তব্যে ছুটেছেন।
সড়কে সড়কে চোখে পড়ে আটকে থাকা বিভিন্ন যানবাহন। পানি ঢুকে বন্ধ হয়ে বিপাকে পড়েন চালক ও যাত্রীরা। সেই সঙ্গে অদেখা খানা-খন্দের ঝক্কি বাড়িয়েছে ভোগান্তি। এই জলজটের কারণে রাজধানীজুড়েই যানজটে অসহনীয় পরিস্থিতি।
এক বাবা বলেন, আমার অসুস্থ ছেলে ডেল্টা হাসপাতালে ভর্তি। তার জন্য জরুরি ভিত্তিতে রক্ত প্রয়োজন। সেজন্য হাঁটুপানি মাড়িয়ে যেতে হচ্ছে শান্তিনগরে। এখন যে অবস্থা তাতে চলার মতো না। ঢাকায় দুই দুটি সিটি করপোরেশন রয়েছে তারা কী ব্যবস্থা নিচ্ছে? আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, লঘুচাপের প্রভাবে এই বৃষ্টি সন্ধ্যা পর্যন্ত হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ আফতাব উদ্দিন বলেন, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের অনেক জায়গা মাঝারি থেকে বড় ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি হতে পারে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমাদেরকে বুঝতে হবে পানি কই যায়। পানিটা যেতে হবে রিটেনশন পয়েন্টে। আপনারা দেখেছেন কল্যাণপুর ক, খ, গ, ঘ, ঙ চ সহ ছয়টি রিটেনশন পয়েন্টের ডাউন স্টিটেমেন্ট পানি আসছে না। কেননা আপার স্টিটে খালগুলো দখল হয়ে গেছে।
আসন্ন বর্ষায় আরও খারাপ পরিস্থিতির আশঙ্কায় এখনই ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ নগরবাসীর।
সূত্র : সময় টিভি