ফরিদা অর্ভি, বিশেষ প্রতিনিধি (যুক্তরাষ্ট্র) এইউজেডনিউজ২৪: ক্ষমতার অপব্যবহার ও কংগ্রেসের কাজে বাধার অভিযোগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিশংসন করতে রায় দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ। স্থানীয় সময় বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) এ রায় দেয়া হয়। ফলে আগামী মাসে অভিশংসন প্রস্তাব যাবে সিনেটে।ডোনাল্ড ট্রাম্প হলেন যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় প্রেসিডেন্ট যার বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব পাস হলো।
এর আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মার্কিন কংগ্রেসের হাউস অব রিপ্রেজ়েন্টেটিভসে চলা তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ করেন বিচার বিভাগীয় কমিটির চেয়ারম্যান জেরল্ড ন্যাডলার। রোববার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে বারোটায় এ রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। ৬৫৮ পাতার সেই রিপোর্টের ছত্রে ছত্রে লেখা রয়েছে, কেন দোষী সাব্যস্ত করা উচিত প্রেসিডেন্টকে। ন্যাডলারের কথায়, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমাদের গণতন্ত্রের পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক। তার কাজকর্ম সংবিধান-বিরোধী। তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত।’
২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট তদন্ত চলছে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজ়েন্টেটিভসে। গতকাল বুধবার ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাবের বিষয়ে হাউসে চূড়ান্ত ভোটাভুটি হয়।
প্রকাশিত এ রিপোর্টে বলা হয়, দু’টি বিষয়ের জন্য প্রেসিডেন্টকে ইমপিচ করা যেতেই পারে। প্রথম, ২০২০-র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী, ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্ত করার জন্য চাপ দিয়েছিলেন একটি ইউক্রেনকে। যা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সরাসরি বিদেশি রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের শামিল। দ্বিতীয়, কংগ্রেস যখন এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করে, সেই প্রক্রিয়া বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন প্রেসিডেন্ট।
নিম্নকক্ষে অভিশংসন প্রতিবেদনটি পাস হলে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের তৃতীয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিশংসিত হবেন। এর আগে ১৯৯৮ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন এবং ১৮৬৮ সালে অ্যান্ড্রু জনসন অভিশংসিত হয়েছিলেন। তবে তাঁদের কেউই অপসারিত হননি। আর ১৯৭৪ সালে ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির জেরে আনা অভিশংসন প্রস্তাবটি পাস হওয়ার আগেই পদত্যাগ করেছিলেন রিচার্ড নিক্সন। ফলে তিনিও সেই অর্থে অভিশংসিত হননি। সূত্র : সিএনএন ও বিবিসি