হেল্থ ডেস্ক: কোভিড-৯ করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবে সারাদেশে একদিনে আরও ২শ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১৮ হাজার ৩শ ২৫।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। নতুন শনাক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৫শ ৭৯ জন। শনাক্তের হার ২৯ দশমিক তিন এক শতাংশ। এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১১ লাখ ২৮ হাজার ৮শ ৮৯ জন। নতুন ৯ হাজার ৯শ ৯৭ জনসহ মোট সুস্থ হয়েছেন ৯ লাখ ৫১ হাজার ৩শ ৪০ জন।
বছর ব্যবধানে আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে, করোনা পরিস্থিতি। প্রতিদিনই প্রাণ যাচ্ছে, দুইশোর বেশি মানুষের। প্রাণহানি বেড়েছে ৫ গুণ। এ অবস্থায় নানা বিধিনিষেধ দিলেও, তা মানতে চান না সাধারণ মানুষ। তাই সামাজিক আন্দোলনের তাগিদ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।
বছরের ব্যবধানে পুরোপুরি ভিন্ন চিত্রপট। এসময়ে মৃত্যু বেড়েছে পাঁচগুনের বেশি। রেকর্ড গড়েছে শনাক্তের হার। মৃত্যুর মিছিলে সপ্তাহব্যাপী যোগ হয়েছে গড়ে দুই শতাধিক। গত এক বছরে করোনার ভয়াবহতা কয়েকগুন বাড়লেও সমান হারে কমেছে জনসচেতনতা।
সপ্তাহজুড়েই গড় মৃত্যু ২০০’র বেশি। করোনা শনাক্তের হার ৭ শতাংশ বেড়ে ৩১ শতাংশ। আর আক্রান্ত ১২ হাজার ১৯৮। লকডাউনের কঠোরতা, জেল-জরিমানাও ঠেকাতে পারেনি এমন গণজমায়েত।
নিম্নআয়ের মানুষের সঞ্চয় কমার তথ্য মিলছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনেও। নিম্নআয়ের মানুষের ব্যাংক হিসাব এক বছরে ৫ লাখ বেড়ে এখন ৩২ লাখ। একই সময়ে আমানতের পরিমাণ ১০৪ কোটি কমে দাঁড়িয়েছে ২১৮ কোটিতে। সঞ্চয়ের পাশাপাশি কমেছে আয়ও। তাই পেটের দায়ের কাছে বাধা হতে পারেনি কোনো বিধিনিষেধই।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি মানার সামাজিক আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকার রাখতে পারেন তরুণ সমাজ। নিম্নআয়ের মানুষের পাশে দাঁড়াতে, সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও, দরিদ্রসীমার নিচে থাকা অনেকেই জানেন না এই উদ্যোগের কথা।