হেল্থ ডেস্ক, আজনিউজ২৪: বিশ্বে মৃত্যুর মিছিলে প্রতিনিয়ত যোগ হচ্ছে বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) -এ রোগীর সংখ্যা। সেই সাথে থেমে নেই আক্রান্তের সংখ্যাও। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। করোনা শনাক্ত হয়েছে সাড়ে তিন লাখেরও বেশি রোগী। ভাইরাসের শুরুতে অনেক হাসপাতাল চিকিৎসা সেবায় হিমশিম খেতে হলেও বেসরকারী স্বাস্থ্য সেবামূলক প্রতিষ্ঠান ইমপালস হাসপাতালটি করোনা থাবা থেকে বাঁচাতে এগিয়ে এসেছে সেখানকার উদ্যোমী ও সাহসী ডাক্তারসহ এক ঝাঁক স্বাস্থ্যকর্মীরা।
অনলাইন ওয়েবপোর্টাল আজনিউজ২৪-এর প্রতিনিধির সাথে এক বিশেষ সাক্ষাতে হাসপাতালের চিফ অপারেটিং অফিসার অধ্যাপক ডা. খাদিজা আক্তার ঝুমা বলেন, প্রাণঘাতী কোভিড-১৯ এর প্রথম পর্যায়ে বাংলাদেশের বেসরকারী হাসাতালের মধ্যে ইমপালস হাসপাতালই সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে সুস্থভাবে ফিরিয়েছেন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে ১ হাজার ৪০০ জন পুলিশ করোনারোগীকে। সংক্রমণের সময় আক্রান্ত আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীদেরকে সর্বোচ্চ ২৯১ আইসিইউ বা এইচডিইউ বেডে রেখে সম্পূর্ণভাবে স্বাস্থ্য সেবা দিতে পেরেছে বলেও জানান অধ্যাপক ডা.ঝুমা । তিনি আরও বলেন, প্রতিটি বেডের সঙ্গে হাই-ফ্লো-নাজাল ক্যানুলা (এইচএফএনসি), বিদেশি অত্যাধুনিক ভেন্টিলেটর, সিপিএপি বা বিআইপিএপি মেশিন, মনিটর, সেন্ট্রাল অক্সিজেন সুবিধা আছে।
অত্যন্ত দক্ষ ও অভিজ্ঞ অধ্যাপক ডাক্তার ঝুমা আরও বলেন, গত ৯ মে থেকে শুরু করে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশ সদস্য উর্ধ্বতন কমকর্তা মিলিয়ে প্রায় ২ হাজার ৫০০ করোনা রোগী এখান থেকে স্বাস্থ্য সেবা সম্পন্ন করতে পেরেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে ইমপালস হাসপাতালের কার্যক্রমে সন্তুষ্ট প্রকাশ করায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
অধ্যাপক ডা.ঝুমা বলেন, করোনার পাশাপাশি আবারও স্বাভাবিক নিয়মে চিকিৎসকরাও যথেষ্ট সাবধানতার সঙ্গে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন সাধারণ রোগীদেরকেও। তিনি বলেন, ইনফেকশন রোধে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক নীতিমালা বাস্তবায়ন করে হাসপাতালটি স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। সংকটময় মুহূর্তে হাসপাতালের প্রধান ভবনটি কোভিড কার্যক্রমের জন্য কাজে লাগানো হয়েছিলো। করোনার আতঙ্কজনক পরিস্থিতিতে প্রাইভেট খাতে ইমপালসই প্রথম বিশেষ স্বয়ংসম্পূর্ণ করোনা চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।
দেশে এখনো পর্যন্ত বেসরকারি খাতে সর্বোচ্চ সংখ্যক কোভিড রোগীকে আইসিইউ সেবাসহ হাসপাতালের অভিজ্ঞ চিকিৎসক ও দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীর দল নিলসভাবে কাজ করছে বলেও জানান, অধ্যাপক ডাক্তার ঝুমা। তিনি বলেন চিকিৎসকদের মনোবল বাড়ানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা থাকায় আন্তরিক সেবা দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
স্বাভাবিক স্বাস্থ্যসেবা ছাড়া এখনও কোভিডে আক্রান্ত রোগীদের স্বাভাবিক ও সিজারিয়ান ডেলিভারি ও ডায়ালাইসিসের সুবিধাও চালু রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি। কোভিড-১৯ করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় সুষ্ঠু কার্যক্রম ও স্বাভাবিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেন হাসপাতালটির চীফ অপারেটিং অফিসার অধ্যাপক ডা. খাদিজা আক্তার ঝুমা ।
[ দ্বিতীয় পর্বের জন্য চোখ রাখুন www.auznews24.com নিউজ অনলাইন ওয়েবপোর্টালটিতে ]