ঢালিউড অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘি শৈশবেই শিশুশিল্পী হিসেবে আলোচনায় এসেছিলেন। এরপর নায়িকা হয়ে প্রশংসা যেমন পেয়েছেন, ঠিক তেমনি সময়ের সঙ্গে সমালোচিতও হয়েছেন তিনি। তবে এখন আর এসব নিয়ে ভাবেন না বলে জানিয়েছেন দীঘি। তিনি বলেন, তার মনোযোগ শুধু নিজের কাজ ও ভালো কিছু করার দিকে।
একসময় বডি শেমিংয়ের কারণে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন দীঘি। তিনি বলেন, অসুস্থতার কারণে ওজন বেড়ে গিয়েছিল। তখন মানুষ নানা কথা বলত। স্টেরয়েডের ওষুধে শরীর ফুলে যেত। সেই সময়টা খুব কঠিন ছিল। কিন্তু পরিশ্রম আর ধৈর্যে ঘুরে দাঁড়িয়েছি।
এর আগে গত ঈদে মুক্তি পেয়েছিল দীঘি অভিনীত সিনেমা ‘জংলি’। এরপরই নতুন কয়েকটি প্রজেক্টের খবরে আবার আলোচনায় আসেন তিনি। সম্প্রতি শুরু হয়েছে তার নতুন সিনেমা ‘বিদায়’-এর শুটিং, যেখানে সহশিল্পী হিসেবে আছেন বাপ্পারাজ। সুনামগঞ্জের বিভিন্ন লোকেশনে চলছে শুটিং, যা নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত চলবে। পরে মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে সিনেমার কিছু অংশ ধারণ করা হবে।
সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে মুখোমুখি হন দীঘি। অভিনেত্রী বলেন, জানান, নায়িকা হওয়ার পর নানা সমালোচনার মুখে পড়েছেন, কিন্তু সেগুলোই আমাকে শক্ত রেখেছে।
তিনি বলেন, প্রতিটি সিনেমায় চরিত্রই আমার কাছে প্রধান। কারণ চরিত্রের মধ্যেই আমি নিজেকে খুঁজে পাই। কাজ করলে সমালোচনা থাকবেই, কিন্তু এখন আর ওসব নিয়ে মাথা ঘামাই না। আগে কষ্ট পেতাম, এখন বুঝি— অনেকে অন্যকে ছোট করে নিজেকে বড় দেখাতে চায়।
দীঘি বলেন, তারা শোধরানোর জন্য সমালোচনা করে না। কে ভালো চান আর কে খারাপ চান, এখন সেটা বুঝে ফেলেছি। আমার ভুল ধরার কেউ থাকলে তিনি আমার বাবা, তিনিই আমার সবচেয়ে বড় সমালোচক।’

