ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: ভারতে সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) কৃষক বিক্ষোভে অচল হয়ে পড়ে পুরো দেশ। কৃষকদের জীবিকাকে হুমকির মুখে ফেলা তিনটি আইন পার্লামেন্টে পাস হওয়ার এক বছর পূর্তিতে দেশজুড়ে এই বিক্ষোভের ডাক দেয়া হয়। ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
১০ ঘণ্টার এই বিক্ষোভ শুরু হয় সোমবার সকালে। এ সময় হাজার হাজার কৃষক রাজ্য এবং জাতীয় মহাসড়ক অবরোধ করেন। রেললাইনের ওপর অবস্থান নেয়ার কারণে বন্ধ হয়ে যায় রেল চলাচলও। তবে জরুরি সেবা চালু ছিল এ সময়। ৪০টি কৃষক ইউনিয়নের সংস্থা সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা জানায়, অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে জাতীয় রাজধানী দিল্লির সীমান্তে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ এবং আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়। মূলত পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশের কৃষকরা নয়াদিল্লির বাইরে অবস্থান গেড়ে ১০ মাস ধরে বিক্ষোভ করছে।
নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সবচেয়ে দীর্ঘ বিক্ষোভগুলোর একটি এটি। চলতি মাসের শুরুর দিকে ৫ লাখের বেশি মানুষ উত্তরপ্রদেশের একটি সমাবেশে যোগ দেন। কৃষক আন্দোলনে প্রাণ ফেরাতে এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল। সুপরিচিত কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত বলেছেন, আমরা ১০ মাস ধরে আন্দোলন করছি। ১০ বছর আন্দোলন চালিয়ে যেতে প্রস্তুত আছি। কিন্তু এই ‘কালো’ আইনগুলো বাস্তবায়ন হতে দেবো না।
এদিকে সোমবারের ওই বিক্ষোভে সমর্থন জানিয়েছে বেশ কয়েকটি বিরোধী দল। এমনকি বিরোধী দল শাসিত বেশ কয়েকটি রাজ্য সরকারও এই আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। কৃষকদের সমর্থনে টুইট করেছেন বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী। এ সময় তিনি সরকারের সমালোচনার পাশাপাশি নিজ দলের কর্মীদেরও বিক্ষোভে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান।
এছাড়া কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী কৃষকদের এই বিক্ষোভের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। সমর্থন জানিয়েছে দক্ষিণাঞ্চলীয় দুটি রাজ্যও। রাজ্য দুটি হচ্ছে- অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু।