কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার একটি মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার রাত সোয়া আটটার দিকে উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের স্বরূপদহ পালপাড়ায় রক্ষাকালী মন্দিরে এ ঘটনা ঘটে।
ওই রাতেই কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত সরকারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
প্রতিমা ভাঙচুরের বিষয়টি রাতেই নিশ্চিত করেছেন পুলিশ ও র্যাবের কর্মকর্তারা। তাঁরা বলছেন, কার্তিক ও সরস্বতীপ্রতিমার মাথা ও হাত ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ছাড়া হাঁস ও ময়ূরের কিছু অংশ ভাঙা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তের জন্য কাজ চলছে।
মন্দির কমিটির সভাপতি অমরেশ ঘোষ জানান, মন্দিরে প্রতিমা তৈরির কাজ চলমান। ঘটনার সময় এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছিল। এই সুযোগে কে বা কারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে। টিনশেডে ঘেরা অস্থায়ী মন্দির। লোডশেডিংয়ের পর মন্দিরে গিয়ে দেখতে পান প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। সামনে দুর্গাপূজা। প্রতিমার মাটির কাজ শেষ হয়েছে। আজ সোমবার রঙের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোমিনুল ইসলাম বলেন, সংবাদ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। কার্তিক, সরস্বতীসহ আরও কয়েকটিতে ভাঙচুর করা হয়েছে। সেখানে একটি আইপি ক্যামেরা ছিল। সেটিও নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় কাউকে সন্দেহ বা কারা জড়িত থাকতে পারে, তা মন্দির কমিটি বলতে পারছে না। তারা মামলা দিতেও চাইছে না। পুলিশ এ বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে।
র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত সরকার বলেন, রাতেই ঘটনাস্থলে যান তিনি। র্যাবের সদস্যরা এটা নিয়ে কাজ করছেন।