পবিত্র ইসলাম ধর্মে কুরবানি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। মহান আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে কুরবানি দেয়া হয়।
কুরআন ও ইসলামিক স্কলারদের মতে, কুরবানির পর পশুর গোশত নিজে যেমন খাওয়া যায়। আবার অন্যকেও খাওয়াতে পারবে তা। সেই সময় যদি বিয়ের অনুষ্ঠান হয় তাহলে সেখানেও ওই গোশত ব্যবহার করা যাবে, অর্থাৎ আপ্যায়ন করতে কোনও নিষেধ নেই। তাই কুরবানির গোশত দিয়ে বিয়ে, কোনও অনুষ্ঠান বা ওয়ালিমা করতে বাধা নেই।
তবে বিয়ে, কোনো অনুষ্ঠান বা ওয়ালিমার উদ্দেশ্যে কুরবানি করা হলে তা বৈধ বা সহিহ হবে না। এ জন্য কোনও অনুষ্ঠানে প্রয়োজনীয় গোশতের চাহিদা মেটানোর জন্য কুরবানি দেয়া সহিহ নয়। কেননা, কুরবানি দেয়া হয় মহান আল্লাহর জন্য। তাই আল্লাহর উদ্দেশ্য ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্যে কুরবানি দেয়া সহিহ হবে না।
মহান আল্লাহ তাআলা বলেন,
لَنۡ یَّنَالَ اللّٰهَ لُحُوۡمُهَا وَ لَا دِمَآؤُهَا وَ لٰکِنۡ یَّنَالُهُ التَّقۡوٰی مِنۡکُمۡ ؕ کَذٰلِکَ سَخَّرَهَا لَکُمۡ لِتُکَبِّرُوا اللّٰهَ عَلٰی مَا هَدٰىکُمۡ ؕ وَ بَشِّرِ الۡمُحۡسِنِیۡنَ
‘এগুলোর (কোরবানির পশুর) রক্ত ও গোশত আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না, কিন্তু তার কাছে তোমাদের মনের তাকওয়া পৌঁছে। এমনিভাবে এগুলোকে তিনি তোমাদের বশ করে দিয়েছেন, যাতে আল্লাহর মহত্ব ঘোষণা কর তোমরা এ কারণে যে, তিনি পথ প্রদর্শন করেছেন তোমাদের। তাই সৎকর্মশীলদের সুসংবাদ শুনিয়ে দিন।’ (সুরা হজ: আয়াত ৩৭)
হযরত ইবরাহিম (আ.) মিনায় এসে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি ও আবেগ-ভালোবাসায় নিজের প্রিয় সন্তান হযরত ইসলামইল (আ.)-কে কোরবানি দেয়ার কার্যক্রম করেছিলেন। পরে সেখানে মহান আল্লাহর নির্দেশে তার সন্তানকে সরিয়ে পশু দেয়া হয়।
কোরবানির নিয়ত ও চুক্তি হলো এমন—
قُلۡ اِنَّ صَلَاتِیۡ وَ نُسُکِیۡ وَ مَحۡیَایَ وَ مَمَاتِیۡ لِلّٰهِ رَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ
‘অবশ্যই আমার নামাজ, কুরবানি, জীবন, মৃত্যু মহান আল্লাহর জন্য। যিনি পুরো সৃষ্টি জগতের প্রতিপালক। তার কোনো শরিক নেই।’ (সুরা আনআম: আয়াত ১৬২)