মালয়েশিয়া সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী বন্ধ হচ্ছে দেশটির শ্রমবাজার। শুক্রবারের (৩১ মে) পর থেকে আর কোনো বাংলাদেশি শ্রমিক এশিয়ার দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবে না। এতে অপেক্ষমাণ কর্মীদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) পর্যন্ত কুয়ালালামপুরের দুটি আন্তর্জাতিক টার্মিনালে প্রায় ২০ হাজার বাংলাদেশি কর্মী পৌঁছেছেন, যারা দেশটিতে প্রবেশ করতে পারেননি। তারা অবস্থান করছেন বিমানবন্দরের ফ্লোরে। এতে দুর্ভোগ বাড়ছে কর্মী ও নিয়োগকর্তাদের। সেই সঙ্গে নিজেদের কর্মী শনাক্তে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে নিয়োগকর্তাদের। আবার দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে কর্মীদেরও।
এদিকে, মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে দৈনিক বিদেশি কর্মীদের আগমন হয় ৫০০ থেকে ১ হাজার। কিন্তু ২২ মে থেকে আগমনের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। এ পরিস্থিতিতে যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত ও যানজট নিয়ন্ত্রণে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
একটি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে প্রায় ৪০ হাজার কর্মীর বাংলাদেশ থেকে বহির্গমনের ছাড়পত্র ইস্যু হয়েছে। কর্মী প্রবেশের সময় আর মাত্র একদিন বাকি থাকায় বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু কর্মীরা উল্টো পথে দুবাই, কাতার, চীন, হংকং, সিংগাপুর, ইন্দোনেশিয়া হয়ে স্রোতের মতো দেশটিতে ঢুকছেন।
এর মধ্যেই অনেক যাত্রীর অভিযোগ, টিকিটের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে সিন্ডিকেট চক্র মালয়েশিয়ার ৩০ হাজার টাকার ওয়ানওয়ের টিকিটের দাম বাড়িয়ে বর্তমানে ৯৫ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছে। এভাবে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে অসাধু চক্র।
নির্ধারিত ১০০ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে এফডব্লিউ সিএমএস প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের দেশটিতে প্রবেশের সবশেষ সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয় ৩১ মে। এর ফলে বাংলাদেশি কর্মীদের ৩১ মে’র মধ্যে দেশটিতে প্রবেশের হিড়িক পড়েছে।