ভৈরব প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের ভৈরবে প্রথম একজন পুলিশ কর্মকর্তা করোনা রোগী শনাক্ত। ৪৮ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) ভৈরব থেকে সন্দেহভাজন ৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হলে তাদের মধ্য ভৈরব থানার এক উপ পরিদর্শকের দেহে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। আক্রান্ত হবার পর তাকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ভৈরব করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ডা. বুলবুল আহম্মদ।
তবে তিনি কীভাবে আক্রান্ত হয়েছে তার সঠিক বিবরণ এখনো জানা যায়নি। তিনি যে এলাকায় বসবাস করতেন ওই এলাকার একটা গলিসহ বসবাসকারী ভবন, একটি বেসরকারি হাসপাতাল ও সরকারি হাসপাতালের দুটি ওয়ার্ডকে লকডাউন করাসহ ৬ ডাক্তারসহ ১৫ পুলিশ সদস্যকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া পুরো ভৈরবের সাথে অন্যান্য জেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। করোনা শনাক্ত হওয়া পুলিশ কর্মকর্তা ২ মাস পূর্বে অষ্টগ্রাম থানা থেকে বদলি হয়ে ভৈরব থানায় আসেন। তিনি কমলপুর এলাকায় একটি ভবনের বসবাস করতেন। ৪দিন আগে জ্বর, সর্দি কাশি নিয়ে প্রথমে চন্ডিবেড় এলাকার একটি প্রাইভেট কিলনিকের শরণাপন্ন হন। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ না হত্তয়ায় পরে ভৈরব উপজেলা সরকারী হাসপাতালের ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নেন। এসময় ডাক্তারদের সন্দেহ হলে গতকাল তার নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হলে রিপোর্টে পজিটিভ ধরা পরে।
পরে তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকের জরুরি সভায় ভৈরবসহ কিশোরগঞ্জ জেলাকে লকডাউন করা হয় এবং তার সংস্পর্শে আসা ৬ ডাক্তার ও ১৫ পুলিশ সদস্য সহ ২১ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে একটি ফার্মেসী, বেসরকারি মডার্ন ডায়াগনষ্টিক সেন্টার ও সরকারি হাসপাতালের দুটি ওয়ার্ডসহ তার বাসবাসের স্থান কমলপুর এলাকার একটি গলি ও একটি ভবন। সীমিত করা হয়েছে জনসাধারণের চলাচল। সূত্র: সময় টিভি