আইন ও আদালত ডেস্ক, এইউজেডনিউজ২৪: কাশিমপুর কারাগার থেকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামির পালানোর মাত্র ২২ দিনের মাথায় মিটফোর্ড হাসপাতাল থেকে পালিয়েছে মাদক মামলার আরেক আসামি। কারারক্ষীদের চোখে ধুলো দিয়ে শনিবার (২৯ আগস্ট) রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতাল থেকে পালিয়েছে মাদক মামলার এক আসামি। এ যেন জেল পালানোর প্রতিযোগিতা।
দুটি ঘটনাতেই দায়িত্বে থাকা কারারক্ষীদের দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ মিলেছে। এসব ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেও, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি কারাগারের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে এখনই ভঙ্গুর বলা যাবে না।
কারাগারের ভেতরে বসে মই তৈরি করে সেটি বেয়ে প্রধান ফটক পার হয়ে, গত ৬ আগস্ট দিনে দুপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালিয়ে যায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আবু বক্কর সিদ্দীক। ঘটনা তদন্ত নেমে কমিটির সামনে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
জানা যায়, ঘটনার দিন কারাগারের ৪৮টি সিসি টিভি ক্যামেরার মধ্যে ২৭টি ছিলো অচল। এমনকি কারারক্ষীরাও তাদের নিয়মিত টহলে ফাঁকি দিয়েছেন। এ ঘটনায় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপারসহ ২৫ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে তদন্ত কমিটি।
এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই চিকিৎসা নেয়ার ভান করে রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আসা মাদক মামলার আসামি মিন্টু মিয়া। এ ঘটনাতেই ধরা পড়ে কারারক্ষীদের দায়িত্বে অবহেলা। কয়েদিকে পাহারা দেয়ার বদলে ৩ কারারক্ষী ঘুমিয়ে থাকায় পালিয়ে যায় কয়েদি।
কেন্দ্রীয় কারাগার জেলার মাহবুবুল ইসলাম বলেন, দায়িত্বে অবহেলা ছিল নিঃসন্দেহে। কারণ তারা দায়িত্ব পালন করলে এ ঘটনা ঘটতো না। কয়েদী পালানোর এমন ঘটনাকে অস্বতিকর বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। জানালেন ভবিষ্যতে এমন ঘটনা প্রতিরোধে সচেষ্ট থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কিছুদিন আগে একজন পালিয়েছিলেন, আরেকজন আজকে আবার পালিয়েছেন। আমাদের কারা সচিব সুরক্ষা কমিটি করে রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা শুরু করেছেন।
১০ ঘণ্টা পর আসামি মন্টু পুলিশের হাতে ধরা পড়লেও, এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। সূত্র : সময় টিভি