মিরসরাইয়ে কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে ফসল, ঘরবাড়ি ও বৈদ্যুতিক খুঁটি ও তারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সোমবার দুপুরে আধা ঘণ্টার কালবৈশাখী তান্ডবে শুধু বিদ্যুৎ বিভাগের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে লাগতে পারে আরো এক সপ্তাহ। বিদ্যুৎ লাইন মেরামত ও সড়কে উপড়ে পড়া গাছ কেটে সড়কে চলাচল স্বাভাবিক করতে বিদ্যুৎ কর্মীদের সাথে কাজে নেমেছে স্থানীয়রা।
ঝড়ো হাওয়ায় উড়ে গেছে অসংখ্য বসত ঘরের টিনের চাল। উপড়ে পড়েছে বড় বড় গাছ। বড় বড় গাছ পড়ে বন্ধ হয়ে যায় আঞ্চলিক সড়ক। বোরো ধান, আম ও কাঁঠালের অনেক ক্ষতি হয়েছে।
জানা গেছে, কালবৈশাখী ঝড়ে বারইয়ারহাট পৌরসভা, মিরসরাই পৌরসভা, মিরসরাই সদর ইউনিয়ন, মিঠানালা, ওয়াহেদপুর, দুর্গাপুর, খৈয়াছড়া, কাটাছরা ও ইছাখালী ইউনিয়নে বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপকভাবে গাছপালা উল্টে গেছে। অনেক জায়গায় গাছ পড়ে ভেঙ্গে গেছে ঘর-বাড়ি। এছাড়া উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও দুই পৌরসভার বিভিন্ন গ্রামে গাছপালা ভেঙ্গে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আবুরহাট উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি নুরুল আবছার বলেন, বজ্রপাত ও ঝড়ো হাওয়া দেখে ক্লাসের ভিতরে আতঙ্কিত হয়ে আমার বিদ্যালয়ের সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণির প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলার মিঠানালা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমএ কাশেম বলেন, অনেক ঘর বাড়ির টিন উপড়ে গেছে এবং এখনো অন্ধকারে বিদ্যুৎ সংযোগ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহফুজা জেরিন বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলা জুড়ে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা কাজ করছে।
চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর মিরসরাই জোনাল অফিসের এজিএম (ওএন্ডএম) উদয়ন দাশ গুপ্ত বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে গাছপালা ভেঙ্গে বিদ্যুতের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধা পর্যন্ত তথ্য হচ্ছে ৭৪ টি বৈদ্যুতিক পোল ভাঙ্গা, ৩১৮টি স্পটে তার ছেঁড়া, ১০৭৭ টি স্পটে বৈদ্যুতিক লাইনে গাছ/ডালপালা ভেঙে পড়ে অসংখ্য ট্রান্সফরমার ও মিটার নষ্ট হওয়ার তথ্য পাওয়া গিয়েছে। আমাদের সকল জনবল ও ঠিকাদার বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের কাজে দিন রাত নিয়োজিত রয়েছে। জান মালের নিরাপত্তার স্বার্থে সকল লাইন চেক করে পর্যায়ক্রমে চালু করা হচ্ছে।