ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: কাবুল হামলার পর এবার আলোচনায় জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের সহযোগী আইএস-খোরাশান বা আইএস-কে। মার্কিন ও ব্রিটিশ সেনাদের ওপর হামলার মধ্যদিয়ে নিজেদের শক্তিমত্তার জানান দিয়েছে তারা। ফোর্বস ম্যাগাজিন বলছে, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের তালেবানদের নিয়েই গড়ে উঠেছে ‘আইএসকেপি’।
একসময় আফগানিস্তান, ইরান ও মধ্য এশিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল নিয়ে ছিলো ‘খোরাশান’ রাজ্য। কালের বিবর্তনে এখন যার অস্তিত্ব নেই। ৭ বছর আগে ইরাক-সিরিয়ায় কথিত খেলাফত রাষ্ট্র ঘোষণা করে আইএস। সেসময়ে বাগদাদীর প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, চীন ও ভারতের কল্পিত অংশ নিয়ে, আইসিস-কে বা আইএস খোরাশান গঠনের ঘোষণা দেয় এ অঞ্চলের জঙ্গিরা। তালেবানের অনেক দাপুটে নেতাও যোগ দেন, আইএসকে-তে।
আইএস-কে যোদ্ধা আবু রশিদ বলেন, ‘তালেবান খেলাফতের মূল ধারায় নেই। তাদের ছেড়ে পবিত্র যুদ্ধে অংশ নিতে আমি আইএস-কে তে যোগ দিয়েছি।’
আফগানিস্তানে উত্তরপূর্বে শক্ত ঘাঁটি এই গোষ্ঠীর। নানগারহারসহ দক্ষিণাঞ্চলেও আছে উপস্থিতি। দুর্গম পাহাড়ি এলাকার মাদ্রাসাপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জঙ্গিবাদে দীক্ষিত করে এরা।
দেওবন্দী মতাদর্শের তলেবানের সঙ্গে, কৌশলগত বিরোধ আছে সালাফি আইএস-কে’র। বর্তমানে তালেবানকে চরম শত্রু মনে করে আইএস। তলেবান চায় আফগানিস্তানে ইসলামি আমিরাত। আর আইএসের লক্ষ্য পুরো মধ্য এশিয়ায় কথিত খেলাফত।
প্রভাবশালী মার্কিন ম্যাগাজিন ফোর্বসের নথি বলছে, আইএস-কে’র সদস্য দেড় থেকে ২ হাজার। তবে, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রিপোর্ট বলছে, সবমিলিয়ে এ জঙ্গি দলের হয়ে কাজ করছে ১০ হাজার। সেই সাথে অভিযোগ আছে, তালেবানের গুরুত্বপূর্ণ শাখা হাক্কানি নেটওয়ার্কের সঙ্গে সম্পর্ক আছে আইএস-কের।
এশিয়া প্যাসিফিক ফাউন্ডেশনের আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিষয়ক পরিচালক সাজ্জান গোহেল বলেন, ‘তারা একে অপরের সাথে সংঘর্ষে জড়ালেও, তলে তলে একে অপরের সহযোগিতা করছে। কাবুলে হামলার মধ্যদিয়ে নিজেদের শক্তিমত্তারই জানান দিলো আইএস-কে।’
তালেবান ও আইএসের রেশারেশির মুখে পড়েছে আফগান জনগণ। মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য বলছে, কাবুলে ছড়িয়ে আছে আইএসের দেড় হাজার জঙ্গি। ইরাক সিরিয়া থেকেও অনেক বিদেশি যোদ্ধা ভিড়েছেন আফগানের আইএসে।