ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়ন করছে কানাডা। কাতারে হামাসের নেতাদের ওপর হামলার পর দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনিতা আনন্দ বুধবার সাংবাদিকদের এ কথা বলেছেন। তাঁর এই মন্তব্য ইসরায়েলি সরকারের ওপর কানাডার নতুন অসন্তোষের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
আনিতা আনন্দ বলেন, কাতারে ইসরায়েলের এ হামলাকে তাঁর দেশ অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করে, বিশেষ করে যেখানে কাতার মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
কানাডার এডমনটনে অনুষ্ঠিত ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টির বৈঠকের এক ফাঁকে সাংবাদিকেরা আনিতাকে প্রশ্ন করেন, এই ইস্যুতে কানাডা কি ইউরোপীয় কমিশনের পদাঙ্ক অনুসরণ করবে? জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা ইসরায়েলের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়ন করছি।’
এর আগে বুধবার ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন ইসরায়েলে সহায়তা বন্ধ এবং দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেন।
কানাডায় মার্ক কার্নির সরকার ইসরায়েল ইস্যুতে কঠোর নীতি গ্রহণ করেছে। গত জানুয়ারিতে জাস্টিন ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হন কার্নি। এর পর জুলাই মাসে তিনি ঘোষণা করেন, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে তাঁর দেশ। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভও প্রকাশ করেন তিনি।
ইসরায়েলের ওপর কানাডাও কোনো রকম নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কথা ভাবছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আনিতা আনন্দ বলেন, ‘আমরা আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপগুলো পুনর্মূল্যায়নের ধারা বজায় রাখব।’
কানাডায় মার্ক কার্নির সরকার ইসরায়েল ইস্যুতে কঠোর নীতি গ্রহণ করেছে। গত জানুয়ারিতে জাস্টিন ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হন কার্নি। এর পর জুলাই মাসে তিনি ঘোষণা করেন, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে তাঁর দেশ। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভও প্রকাশ করেন তিনি।
কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অবশ্য হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি অভিযানের সমর্থক ছিলেন। তবে তিনি কালেভদ্রে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর কর্মকাণ্ডের সমালোচনাও করতেন।
মার্ক কার্নি গত মঙ্গলবার কাতারে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানান। তিনি এ হামলাকে সহিংসতার অগ্রহণযোগ্য সম্প্রসারণ বলে আখ্যা দিয়েছেন এবং এটি পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দেবে বলে মন্তব্য করেছেন।