লন্ডনের ওভালে গতকাল শুরু হওয়া ইংল্যান্ড–ভারত পঞ্চম ও শেষ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫৭তম ওভারের ঘটনা। জেমি ওভারটনের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ড্রাইভ করেন করুণ নায়ার। মিড অফ থেকে দৌড়ে গিয়ে ক্রিস ওকস বাউন্ডারি ঠেকান ঠিকই, কিন্তু ডেকে আনেন নিজের সর্বনাশ।
সীমানার কাছে ডাইভ দিয়ে বাউন্ডারি বাঁচানোর সময় বাঁ কাঁধে চোট পান ওকস। কিছুক্ষণ ব্যথায় কাতরানোর পর ইংল্যান্ড দলের ফিজিওর সহায়তায় বাঁ হাত সোয়েটারে জড়িয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। তখনই শঙ্কা জেগেছিল, ওভাল টেস্টে হয়তো আর মাঠে নামতে পারবেন না এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার।
শেষ পর্যন্ত শঙ্কাটাই সত্যি হলো। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ওভাল টেস্টের বাকি অংশে ওকসকে আর পাবে না ইংল্যান্ড। কাল প্রথম দিনের খেলা শেষে তাঁর সতীর্থ পেসার গাস অ্যাটকিনস বিবিসি স্পোর্টকে বলেছেন, ‘তাঁর অবস্থা দেখে ভালো মনে হচ্ছে না। তিনি যদি এই ম্যাচে আবার খেলতে নামেন, তাহলে বিস্মিত হব।’
ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) অবশ্য এখনো ওভাল টেস্টের বাকি অংশ থেকে ওকসের ছিটকে পড়া নিশ্চিত করেনি। ৩৬ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডারের কাঁধে গত রাতেই স্ক্যান করানো হয়েছে। আজ রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর বিস্তারিত জানাবে ইসিবি। এর আগে ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে চতুর্থ টেস্টে কাঁধে চোট পেয়ে ছিটকে গেছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস। তাঁর পরিবর্তে ওভাল টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ওলি পোপ। এবার চোটের তালিকায় যুক্ত হলো ওকসের নাম। কাল বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রথম দিনে ৬৪ ওভারে ৬ উইকেটে ২০৪ রান তুলেছে ভারত। মাঠ ছাড়ার আগে ওকস ১৪ ওভার বল করে নিয়েছেন ভারতীয় ওপেনার লোকেশ রাহুলের উইকেট। পাঁচ ম্যাচের এই অ্যান্ডারসন–টেন্ডুলকার ট্রফিতে ওকসই একমাত্র ইংলিশ পেসার, যিনি সব কটি ম্যাচ খেলেছেন। নিয়েছেন ১১ উইকেট।
দেশের বাইরে বাজে রেকর্ডের কারণে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে আগামী অ্যাশেজে ইংল্যান্ড দলে জায়গা করে নিতে ওকসকে এমনিতেই লড়াই করতে হচ্ছিল। ৩৬ বছর বয়সে কাঁধে পাওয়া গুরুতর এই চোট এখন তাঁর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার কিছুটা হলেও হুমকির মুখে ফেলে দিল। চোটের সঙ্গে টানা ম্যাচ খেলার ধকলের কারণে বিপর্যস্ত ইংল্যান্ডের পেস আক্রমণ। গত মার্চে হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের পর পুনর্বাসনে আছেন মার্ক উড। ওলি স্টোন হাঁটুর চোট থেকে মাত্র সেরে উঠেছেন। আর চোটমুক্ত রাখতে ও নিজেদের চাঙা করে তুলতে জফরা আর্চার ও ব্রাইডন কার্সকে বিশ্রামে রাখা হয়েছে।