যদিও এর মাঝেই আয়োজন সফল করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আয়োজক কমিটি। ভেন্যু সহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরে রাখছে তারা। মেগা ইভেন্ট যাতে বাতিল না হয় সে ব্যাপারে তোড়জোড় চালালেও আতঙ্কিত তারা। সাবধান থাকতেই হচ্ছে টোকিও অলিম্পিক কর্তৃপক্ষকে। তারই অংশ হিসেবে মশাল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে শিশুদের অংশগ্রহণ বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে তারা।
টোকিও অলিম্পিক আয়োজক কমিটির সভাপতি ইয়োশিরো মোরি বলেন এথেন্সে ১৪০ জন শিশুর অংশগ্রহণে মশাল হস্তান্তর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে শিশুদের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি এড়াতে তাদের না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।
জাপানে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজার ছাড়ালেও এখনো অলিম্পিক ও প্যারা অলিম্পিক আসর বাতিল বা স্থগিতের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি ইয়োশিরো মোরির কমিটি। বরং তাদের আয়োজনে একটি পরীক্ষামূলক ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশটিতে। রাগবির টেস্ট ইভেন্ট বাতিল হলেও আয়োমি আরবান স্পোর্টস পার্কে ক্লাইম্বিংয়ে অংশ নেন অ্যাথলিটরা। যদিও প্রায় সাড়ে ৮ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন স্টেডিয়ামের গ্যালারি ছিল শূন্য।
নজর দেয়া যাক ইংলিশ ফুটবলের দিকে। প্রায় প্রতিদিনই সংবাদ সম্মেলনে করোনা ভাইরাস নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ছেন শীর্ষ ক্লাবগুলোর কোচ-ফুটবলাররা। দিন দু’য়েক আগে এ নিয়ে কিছুটা বিরক্তিও প্রকাশ করেছেন লিভারপুলের কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ। যদিও এদিন কথা বলেছেন বেশ ঠান্ডা মাথায়ই। স্বাস্থ্য নির্দেশনা মেনে চলছেন বলে জানিয়েছেন পেপ গার্দিওলাও।
তিনি বলেন, পেপ গার্দিওলা আমরা স্বাভাবিক জীবন যাপন করছি। কর্তৃপক্ষ, ক্লাব ও চিকিৎসকরা কোনো নির্দেশনা দেবে-সেটাই মেনে চলব। ইয়ুর্গেন ক্লপ প্রতিদিনই নানা তথ্য পাই আমরা। সংবাদ দেখে সবশেষ খবর জানার চেষ্টা করি। যে নির্দেশনাগুলো দেয়া হয়, সেগুলো মেনে চলছি। অনুশীলন বা ড্রেসিংরুমে করমর্দন করছি না।