ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, এইউজেডনিউজ২৪: করোনায় বিশ্বজুড়ে প্রাণহানি ৪৮ হাজার ২৮৪ জনে ছাড়িয়েছে। আক্রান্ত প্রায় ৯ লাখ ৫১ হাজার ৯০১ মানুষ। স্পেনে একদিনে রেকর্ড ৮৬৪ জনের মৃত্যুতে দেশটিতে প্রাণহানি ছাড়ালো ৯ হাজার। আক্রান্ত দেড় লাখের বেশি। যুক্তরাজ্যে ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ৫৬৩ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাড়ালো ২ হাজার ৩শ’ জনে। ইরানে প্রাণহানি ৩ হাজার ছাড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ৩৮ বাংলাদেশিসহ প্রাণহানি ছাড়িয়েছে ৪ হাজার।
প্রতিদিন করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামছেন ইউরোপ আর আমেরিকার চিকিৎসকরা। টানা ১২ থেকে ১৪ ঘন্টা বিরামহীন পরিশ্রম। চাওয়া একটাই জীবন বাঁচানো।
চিকিৎসক, নার্সদের এমন হাজারো চেষ্টার পরও কোনভাবেই থামছে না করোনার ভয়াবহতা। প্রতিদিনই মৃত্যুর গ্রাফ বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। এই পরিস্থিতিকে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর বিশ্বের সবচেয়ে বড় সংকট বলছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
জানুয়ারির শেষ নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম করোনা আক্রান্ত সনাক্ত হয়। মাত্র দুই মাসের মাথায় তা বেড়ে প্রায় দুই লাখের ঘরে। প্রাণহানিও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে।
যুক্তরাষ্ট্রে পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে যে, হোয়াইট হাউস হুঁশিয়ারি দিয়েছে, করোনায় দেশটিতে এক লাখ থেকে প্রায় আড়াই লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে। মার্কিনিদের আরো কঠিন সময়ের জন্য প্রস্তুত থাকার কথা জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
হোয়াইট হাউসের করোনা বিষয়ক টাস্ক ফোর্সের সমন্বয়ক ডা. ডেবোরাহ বিরক্স বলেন, ইতালির পরিস্থিতি আর সামগ্রিক বিষয় বিবেচনা করে আমরা ধারণা করছি প্রাণহানি দুই লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে। সামাজিক দুরত্ব মেনে চললে প্রাণহানি কিছুটা কমবে। তবে তাতেও লাখ ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আগামী দুই সপ্তাহ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য খুব কঠিন যাবে। সবাইকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। ঐক্যবদ্ধভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে।
প্রাণহানির এই তালিকায় দীর্ঘ হচ্ছে বাংলাদেশিদের নামও। নিউইয়র্ক ছাড়াও মিশিগান এবং নিউজার্সিতে কয়েকজন বাংলাদেশি প্রাণ হারান কোভিড-নাইনটিনে।
ইউরোপেও করোনা পরিস্থিতি উন্নতির কোন লক্ষণ নেই। ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও স্পেনে একদিনে সর্বোচ্চ প্রাণহানি রেকর্ড করা হয়েছে। ইতালিতে মৃত্যুর মিছিল শুধু দীর্ঘই হচ্ছে। করোনাভাইরাসে মারা যাওয়াদের শ্রদ্ধায় এক মিনিটের নিরবতা পালিত হয় দেশটিতে।