করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে উন্মুক্ত স্থানে সভা-সমাবেশে যে নিষেধাজ্ঞা সরকার দিয়েছে, তার পেছনে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য’ দেখছে বিএনপি।
দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক থেকে এই প্রতিক্রিয়া এসেছে বলে মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো
বিএনপির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোভিড-১৯ এবং ওমিক্রনের বিস্তার রোধের কথা বলে ১০ জানুয়ারি সরকার যে নির্দেশাবলী জারি করেছে, তাতে ঘরোয়া পরিবেশে সভা-সমাবেশের সুবিধা বহাল রেখে উন্মুক্ত স্থানে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে বিএনপি স্বাভাবিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণের সরকারি অপপ্রয়াস বলে মনে করে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যেখানে বদ্ধ স্থানের চেয়ে উন্মুক্ত স্থানে ওমিক্রন ও কোভিড-১৯ এর বিস্তারের সম্ভাবনা কম বলেছে, সেখানে হাট-বাজার, শপিংমল, স্কুল-কলেজ ইত্যাদি স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উন্মুক্ত স্থানে সামাজিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সমাবেশ নিষেধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক। চলমান নির্বাচনী প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখে রাজনৈতিক সমাবেশ বন্ধ রাখা অগ্রহণযোগ্য।
এখন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচার চলছে। পাশাপাশি এই মাসেই আরেক ধাপের ইউপি নির্বাচন হবে।
খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর দাবিতে জেলায় জেলায় বিএনপির কর্মসূচি চলছে এখন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটি বলছে, অকারণে ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপির জনসমাবেশে সরকার ও ক্ষমতাসীন দল একক কিংবা যৌথভাবে বাধা সৃষ্টি করার পরেও জনগণ তা প্রতিহত করে সফলভাবে সমাবেশ অনুষ্ঠান করায় সরকার জনগণের এই স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিরোধ আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য কোভিড-১৯ এবং ওমিক্রনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে।
গতকাল সোমবার (১০ জানুয়ারি) রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে কয়েকটি বিধিনিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। উন্মুক্ত স্থানে কোনো সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং রাজনৈতিক সভা-সমাবেশেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।