ইকোনোমিক ডেস্ক, এইউজেডনিউজ২৪: করোনার এই দুর্যোগের মধ্যেই মাত্র এক মাসের ব্যবধানে গড় মূল্যস্ফীতি বেড়েছে দশমিক ছয় দুই শতাংশ।
আর এর ফলে নানান পারিপার্শ্বিকতায় সাধারণ মানুষ যেন কিছুটা নির্বিকার হয়ে পড়েছে। তার ওপর করোনা পরিস্থিতিতে সম্মিলিত যে কোন প্রতিবাদ প্রয়াসই এখন অনাকাংখিত। কেউ বলার নেই; তাই সরকারের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোও যেন হয়ে ওঠেছে নির্বীকার। এ সুযোগে
বিবিএসের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, জুন শেষে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ হয়েছে। যা আগের মে মাস শেষে ছিল ৫ দশমিক তিন পাঁচ শতাংশ। এই মূল্যবৃদ্ধি শহরের চেয়ে গ্রামেই হয়েছে বেশি। গত জুন মাসে গ্রামীণ এলাকায় মূল্যস্ফীতি ছিলো ৬ দশমিক শূণ্য ২ শতাংশ। যা মে মাসে ছিল ৫ দশমিক ছয় ১ শতাংশ।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, হঠাৎ বন্যার কারণে সবজির বেশ ক্ষতি হয়েছে। ফলে আলু, বেগুন, শিম, কুমড়া, গাঁজর, শসা, টমেটো, ফুলকপি, বাধাকপি, লালশাক ও মুলাসহ দাম বেড়েছে বেশ কিছু কাঁচা পণ্যের। মাসওয়ারি হিসেবে বেড়েছে বেশ কয়েক ধরণের মসলা জাতীয় পণ্যের দামও। ফলে, জুন মাসে খাদ্যখাতে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ, অথচ মে মাসে এ হার ছিলো ৫ দশমিক ৩৫।
করোনার কারণে চাকুরি হারিয়ে কিংবা পরিস্থিতির শিকার হয়ে শহর ছেড়ে গ্রামের পথে সাধারণ মানুষ। তাই, কমেছে খাদ্য বর্হিভুত খাতে মূল্যস্ফীতির হার। বাড়িভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণ ও বিবিধ সেবাখাতে মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। জুন মানে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ১৮। যা আগের মে মাসের চেয়ে অনেকটাই কম। সূত্র : চ্যানেল টোয়েন্টি ফোর
করোনার এই দুর্যোগের মধ্যেই মাত্র এক মাসের ব্যবধানে গড় মূল্যস্ফীতি বেড়েছে দশমিক ছয় দুই শতাংশ
বাণিজ্য ও গার্মেন্টস শিল্প
0 Views