ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, এইউজেডনিউজ২৪: করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রার্দুভাবে লাতিন আমেরিকার ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ খাদ্য সংকটে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি। আক্রান্তের দৈনিক হিসাবে ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে গেছে লাতিন আমেরিকা।
মার্কিন এক জরিপে আভাস দেওয়া হয়েছে, আগস্ট জুড়ে লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। এখন পর্যন্ত লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুতে শীর্ষে রয়েছে ব্রাজিল। এরপরেই রয়েছে পেরু এবং চিলি।
লাতিন আমেরিকায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। আর মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৪৩ হাজারের বেশি মানুষের। এ অঞ্চলের দেশগুলোকে এখনই বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নিতে নিষেধ করে দিয়েছেন ডব্লিউএইচও পরিচালক ও প্যান আমেরিকান হেলথ অর্গানাইজেশনের প্রধান ক্যারিসা এতিন্নে।
ক্যারিসা এতিন্নে বলেন, আমাদের অঞ্চল কোভিড-১৯ মহামারির নতুন ভরকেন্দ্র হয়ে উঠেছে। সামনে আরও কঠিন সপ্তাহ আসছে বলেও সতর্ক করেন তিনি। ব্রাজিলে মহামারি শেষ হতে এখনও অনেক বাকি বলেও জানান তিনি। এছাড়া পেরু, চিলি, এল সালভাদর, গুয়েতেমালা ও নিকারাগুয়ার মতো দেশগুলোতে প্রাদুর্ভাব বাড়ছে বলে জানান এতিন্নে।
ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ১১ হাজার ৮২১ জন। অপরদিকে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ২৫ হাজার ৫৯৮ জন।
এদিকে, পেরুতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৩৫ হাজার ৯০৫ এবং মারা গেছে ৩ হাজার ৯৮৩ জন। তবে ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ৫৬ হাজার ১৬৯ জন।
অপরদিকে, চিলিতে এখন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮২ হাজার ২৮৯ এবং মৃত্যু হয়েছে ৮৪১ জনের। করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে ৩৩ হাজার ৫৪০ জন।
করোনার কারণে বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিতে ধস নেমে এসেছে। বিভিন্ন ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে ভয়াবহ সংকট তৈরি হয়েছে।
এদিকে লাতিন আমেরিকায় জাতিসংঘের খাদ্য কর্মসূচির আঞ্চলিক পরিচালক মিগুয়েল বেরেতো বলেন, আমরা একটি জটিল অধ্যায়ের দিকে প্রবেশ করছি। আমরা এটাকে ‘ক্ষুধার মহামারি’ বলতে পারি।