ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক,এইউজেডনিউজ২৪: করোনাভাইরাস মহামারি চলাকালীন সময়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়ন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেছে জাতিসংঘের সংস্থাটি।
বুধবার জেনেভা থেকে এক ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্সে ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেইসুস বলেন, তারা মার্কিন অর্থায়ন স্থগিতের প্রভাব নিয়ে পর্যালোচনা করছেন। নিরবিচ্ছিন্নভাবে বিশ্ববাসীর জন্য সেবা অব্যাহত রাখা নিশ্চিত করতে অংশীদারদের সাথে কাজ করে যাবেন তারা।
তিনি বলেন, ‘ভয় ও পক্ষপাতিত্ব না করে জনস্বাস্থ্য, বিজ্ঞানের প্রতি এবং বিশ্ববাসীর সেবা করার জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের লক্ষ্য ও নীতি হচ্ছে সব দেশের জনগণের জন্য সমানভাবে কাজ, এক্ষেত্রে তাদের জনসংখ্যা বা অর্থনীতির আকার বিবেচনা না করা।’
ডব্লিউএইচও প্রধান বলেন ‘যুক্তরাষ্ট্র আমাদের দীর্ঘদিনের ও উদার বন্ধু। আমরা আশা করি, এটি অব্যাহত থাকবে।’
তিনি উল্লেখ করেন, ‘ডব্লিউএইচও শুধুমাত্র কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াই করছে না। আমরা পোলিও, হাম, ম্যালেরিয়া, ইবোলা, এইচআইভি, যক্ষা, অপুষ্টি, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, মানসিক স্বাস্থ্য এবং আরও অনেক রোগ ও পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্যও কাজ করছি।’
বৈশ্বিক মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সব দেশকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে টেড্রস বলেন, ‘আমরা বিভক্ত হয়ে গেলে ভাইরাসটি আমাদের মধ্যকার ফাটলকে কাজে লাগাতে পারে।’
‘বিশ্ববাসীর সেবা করার জন্য এবং তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্বের বিষয়ে জবাবদিহিতা করতে ডব্লিউএইচও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ,’ যোগ করেন তিনি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বৃহত্তম একক দাতা দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার এক ঘোষণায় জাতিসংঘ সংস্থাটির বিরুদ্ধে নভেল করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ‘প্রাথমিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার’ অভিযোগ তুলে মার্কিন তহবিল স্থগিতের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, এই করোনাভাইরাস এমন একটা জিনিস সারা বিশ্বে এ ধরনের ঘটনা আর কখনও দেখা যায়নি। সারাবিশ্বে ২৫০ কোটি মানুষ ঘরবন্দি। এটি একটি অদৃশ্য শক্তি, যা চোখে দেখা যায় না। এর প্রভাবে সারাবিশ্ব একটা জায়গায় চলে এসেছে। সারাবিশ্বের অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সারাবিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা হবে। এভাবে চিন্তা করে আমরা ইতোমধ্যেই ৯২ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ তৈরি করেছি।
এসময় কৃষি উৎপাদনে নজর দেয়ার তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী। রমজানে কোনো পণ্যসংকট যাতে না হয় সে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ত্রাণ পৌঁছাতে হবে সঠিক মানুষের হাতে।
এর আগে গত ৫ এপ্রিল ভিডিও কনফারেন্সে সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের ১৩ জেলার এবং ১২ এপ্রিল বরিশাল ও খুলনা বিভাগের ১৬ জেলার করোনা সম্পর্কিত খোঁজ এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।