ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, এইউজেডনিউজ২৪: করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বিশ্বব্যাপী এয়ারলাইন্সগুলোর ৩১ হাজার ৪শ’ কোটি ডলার লোকসান হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আন্তর্জাতিক এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ)।
বিশ্বের প্রায় সব দেশেই এ মহামারি ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্বব্যাপী যাত্রীবাহী বিমান চলাচল বন্ধ রয়েছে। শুধু পণ্য পরিবহনের কাজে বিমান সেবা চালু থাকলেও এ লকডাউনে লোকসানের পাল্লা দিনদিনই ভারি হচ্ছে এয়ারলাইন্সগুলোর। ২০২১ সালের আগে ঘুরে দাঁড়ানোর কোনো সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আকাশপথে নেই বিমান চলাচল। ফাঁকা পড়ে আছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিমানবন্দর। আকাশে নেই দূষণের কালো ধোঁয়া। দূষণমুক্ত হতে শুরু করেছে পৃথিবীর ওজন স্তর। মানুষের ঘরবন্দী হয়ে যাওয়ার কারণে প্রকৃতি নিঃশ্বাস নিচ্ছে ঠিকই। কিন্তু অন্যদিকে প্রস্তুত হচ্ছে ভয়াবহ আর্থিক ক্ষতির দৃশ্য। যাত্রীবাহী বিমান চলাচল বন্ধ হওয়ায় চলতি বছর ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছে বিশ্বের সব দেশের এয়ারলাইন্স। ২০২০ সালে এ খাতে স্থিতিশীলতা ফিরে আসার কোন সম্ভাবনাই দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা।
আইটিএ মহাপরিচালক আলেক্সান্ডার দ্য জুনিয়াক বলেন, আমাদের এই পূর্বাভাস মাত্র ২০ দিন আগের পূর্বাভাসের চেয়ে ২৫ শতাংশ বেড়ে গেছে। আমাদের পর্যটন কেন্দ্রিক ব্যবসায় তো ধস নেমেছে। সব আর্থিক সংস্থাই ভয়াবহ ক্ষতির পূর্বাভাস দিয়েছে। তাই পরিস্থিতি খুব দ্রুতই স্থিতিশীল হবে না। এমনকি সংকট আরো প্রকট হবে।
বিমান সংস্থাগুলোর সরকারি অর্থ সহায়তা প্রয়োজন হবে বলে মনে করে সংস্থাটি।
মহাপরিচালকআলেক্সান্ডার দ্য জুনিয়াক আরো বলেন, যাত্রীবাহী বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার সাথে সাথে আমাদের পরিকল্পনা করে ফেলতে হবে। আমরা অভ্যন্তরীণ এয়ারলাইন্সে গতি ফেরাতে কি উদ্যোগ নেবো আর আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সে গতি ফেরাতে কি পদক্ষেপ নেব।
চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের দিকে যাত্রীবাহী বিমান চলাচল শুরুর বিষয়ে আশাবাদী সংস্থাটি। তবে কর্মী ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা রয়েছে।