স্পোর্টস ডেস্ক, এইউজেডনিউজ২৪: করোনাকালে বিপর্যস্ত মানুষ, সহায়তার হাত বাড়িয়েছেন দেশের ক্রীড়া তারকারা। মাশরাফী, সাকিব, মুশফিক সবার চেষ্টা অসহায় মানুষের পাশে দাড়াতে। তবে তামিম ইকবাল সেই প্রচেষ্টার অগ্রসৈনিক। সতীর্থদের নিয়ে ফান্ড গঠন, নারায়নগঞ্জের বিপন্ন মানুষের পাশে দাড়ানো, উন্নয়ন সংস্থায় বড় অনুদান কিংবা অভুক্ত অ্যাথলেটের পরিবারের পাশে থাকা সবই করছেন নিভৃতে প্রচারের আলো দূরে ঠেলে।
করোনা বদলে দিয়েছে পৃথিবীর চেনা রূপ। প্রাণচঞ্চল মানুষ ঘরে বন্দী, নিরব নি:স্তব্ধ মুখরিত রাজপথ, আর প্রাণের খোরাক খেলা নির্বাসনে।
তবে খেলোয়াড়রা বসে নেই। নিজ অঙ্গনের তারকাদের চেষ্টা সহায়তার আলোয় মলিন মুখে হাসি ফোটানোর। সেই লক্ষ্যে দেশে অগ্রগামী ক্রিকেটাররা। সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাশরাফী কিংবা স্বল্প আয়ের ক্রিকেটার সমানুষের পাশে আছেন নিজেদের সামর্থের সবটা দিয়ে।
তবে তামিম ইকবাল একটু অন্যরকম। ওয়ানডে অধিনায়কের উদ্যোগে জাতীয় দল আর এর আশপাশের ক্রিকেটাররা দান করেন বেতনের অর্ধেক। দেশে করোনা ইস্যুতে খেলোয়াড়দের প্রথম সম্মিলিত উদ্যোগ তামিম ইকবালরা গঠন করেন প্রায় প্রায় ২৭ লাখ টাকার তহবিল।
তামিম ইকবালের পরের লড়াইটা একার, সংবাদ মাধ্যম আর খ্যাতির স্পটলাইট দূরে ঠেলে নিভৃতে প্রসারিত করেছেন সহায়তার হাত।
সুবিধাবঞ্চিতদের নিয়ে কাজ করা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান ফুটস্টেপসের মাধ্যমে দান করেছেন বড় অঙ্কের অর্থ। করোনার হটস্পট নারায়নগঞ্জের বিপন্ন মানুষের পাশেও দেশ সেরা ওপেনার।
তবে সব ছাপিয়ে জুনিয়র অ্যাথলেট সামিউল-তামিমের যুগলবন্দী। তামিম ইকবাল আমাদের আইকন, তবে সামিউল ইসলামকে সেই প্রশ্ন জাগা খুব স্বাভাবিক।
গেলো জুনিয়র অ্যাথলেটিক্সে দ্রুততম মানব বিজেএমসি তে এক সময় চাকরি করতেন। সংস্থার লোকসানে ডিসেম্বরে তা চলে যায়। এই ছবির মতোই ধুসর হয়ে যায় জীবন। খেপে ফুটবল খেলে ছয় সদস্যের পরিবার চালানোর চেষ্টা, করোনায় সব বন্ধ। অভুক্ত নিরুপায় মানুষ গুলো উপায় হয়ে সহায় হয়ে পাশে দাড়ালেন তামিম ইকবাল।
তামিমদের ছোয়ায় হাসি ফুটুক অসংখ্য পরিবারে, অসহায়ের সহায় হবার চেয়ে বড় স্পোর্টসম্যানশিপ আর কি হতে পারে। সূত্র: চ্যানেল ২৪