মুক্তমঞ্চ ডেস্ক, এইউজেডনিউজ২৪: বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে সরকার সারাদেশে ছুটি ঘোষণা করেছেন। মানুষ যেন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকে। যে যেখানে আছেন, ঐ অবস্থায়ই থাকবেন। কিছু মানুষ ছুটে গেলেন গ্রামের বাড়িতে। এর মধ্যে দ্বিতীয় দফায়ও ছুটি বাড়ানো হলো।
এ সময় তরুণ সাহসী খাদ্য কর্মকর্তা খোরশেদ আলম মাসুদ বলেন, ১০ টাকা-কেজি দরে চাল বিক্রির কর্মসূচি চালু হয়েছিল লকডাউনে থাকা গরীব মানুষকে সাহায্য করার জন্য। কিন্তু সপ্তাহখানেক সময়ের মধ্যে বন্ধ করে দিতে হলো এটি বলে জানান তিনি। মাসুদ বলেন, ১০ টাকা কেজি চালের বিশেষ ওএমএস সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। খুব বেশি ভিড়ের কারণে। সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না। তবে ২০১৬ সালে চালু হওয়া সারা দেশে ৫০ লক্ষ কার্ডধারী হত দরিদ্র পরিবারের মাঝে ১০ টাকা কেজি তে মাসে ৩০ কেজি চালের ‘খাদ্য বান্ধব’ কর্মসূচী চালু রয়েছে।
এছাড়াও জি.আর, ভিজিডি, ভিজিএফ, টি.আর, কাবিখা সহ অন্যান্য কর্মসূচীর মাধ্যমে খাদ্য বিভাগ চাল বিতরণ করছে বলেও জানান এই খাদ্য কর্মকর্তা।
মাননীয় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের নেতৃত্বে খাদ্য বিভাগ দেশের এ ক্রান্তিকালে অত্যন্ত সফলতার সাথে এগিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
সরকার গৃহবন্দী মানুষের কাছে খাদ্য সামগ্রী পৌছানোর ব্যবস্থা করলেন। বিশেষ ওএমএস এর মাধ্যমে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির ব্যবস্থা করলেন। সিটি করপোরেশন, সকল জেলা সদর, প্রতিটি পৌরসভায় এ কার্যক্রম বিস্তৃত।
জি.আর. এর মাধ্যমেও সারাদেশে ব্যাপকভাবে বিনামূল্যে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। যা সরকারি খাদ্য গুদামগুলো থেকে দশ কেজি চালের ব্যাগে ভর্তি করে ইউএনও মহোদয়দের কাছে পৌছে দেয়া হচ্ছে।
২০১৬ সালে চালু হওয়া ৫০ লক্ষ পরিবারের মাঝে ১০ টাকা কেজিতে মাসে ৩০ কেজি চাল দেয়া হচ্ছে। যা বিগত মার্চ মাসে করোনা ভাইরাস আক্রমণের একেবারে শুরুতেই মাঠ পর্যায়ের খাদ্য বিভাগের কর্মীরা বিতরন করেছে। চলতি এপ্রিল মাসেও কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
দেশের যেকোন দূর্যোগ মুহূর্তে লোভ, ভয়ের উর্ধ্বে উঠে খাদ্য বিভাগ সক্রিয়ভাবে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করে।
উপজেলা পর্যায়ে চাকরি করতে গিয়ে দেখলাম, ইউএনও মহোদয়ের নেতৃত্বে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আর খাদ্য বিভাগ। কি দিন, কি রাত কিভাবে কেঁটে যাচ্ছে তা বুঝার উপায় নেই।
সারাদেশে হাতে গোনা কিছু চিকিৎসক কাজ করছেন। বাকিরা হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকে আগামীর পরিকল্পনা করছেন।
গাজীপুরের পুলিশ সুপার মহোদয় গানে-গানে গৃহবন্দী থাকা লোকদের বিনোদন দেয়ার চেষ্টা করছেন।
ঢাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নিয়মিত ব্রিফিং করে পরিস্থিতির আপডেট জানাচ্ছেন।
প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াও জাতীয় এই দুর্যোগে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন।
খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয়ের নেতৃত্বে অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ সারাদেশে জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে চাল-গম-আটা বিতরন কার্যক্রম এবং বাজার পরিস্থিতি তদারকি করছেন।
জীবনের কঠিন ঝুঁকি নিয়ে শ্রমিকেরা সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে খাদ্যশস্য সরবরাহ করে যাচ্ছেন।
অনেক বিভাগই ঝুঁকি ভাতা পেয়ে থাকেন। আমার মনে হয় এ মুহুর্তে খাদ্য বিভাগ মাঠ পর্যায়ে সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে। ঝুঁকি ভাতা পাবো এ আশাও আর করিনা। শুধু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা থেকে একটু ধন্যবাদ আশা করি।
মাঠ পর্যায়ের প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, খাদ্য ও ত্রান-দূর্যোগ বিভাগসহ যারা কাজ করছি, আমরা শুধু দেশবাসীর দোয়া চাই।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা যেন অসহায়দের পাশে শেষ পর্যন্ত থাকতে পারি। এটাই কামনা করি।।
আমি গর্বিত। খাদ্য বিভাগের এক জন কর্মী হওয়ায়। #ঘরে_থাকুন_নিরাপদ_থাকুন।।
——————————————–
মোহাম্মদ খোরশেদ আলম মাসুদ
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (খাদ্য পরিদর্শক)
ঘাটাইল সরকারি খাদ্য গুদাম
ঘাটাইল, টাঙ্গাইল