বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সোসাইটি ফর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট (বিএসএইচআরএম) কর্তৃক “ ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান-নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে মানবসম্পদ উন্নয়নের গুরুত্ব” শীর্ষক একটি গোল টেবিল আলোচনা ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ (শুক্রবার), জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে অনুষ্ঠিত হয়। বিএসএইচআরএম এর সভাপতি মোঃ মাশেকুর রহমান খানের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের সাধারন সম্পাদক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম। এতে অংশগ্রহণ করেন দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মানব সম্পদ কর্মকর্তা, বিশ্লেষক এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধি। বিএসএইচআরএম এর যুগ্ম সম্পাদক মুত্তাকিন হাসান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
মাশেকুর রহমান মূল প্রবন্ধের মাধ্যমে কিছু সুপারিশ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বিএসএইচআরএম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিল্প প্রতিষ্টানেের সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করতে ইচ্ছুক, যাতে শিক্ষার্থী ও চাকুরী প্রার্থীরা বাস্তবমুখী অভিজ্ঞতা পেতে পারে এবং প্রতিষ্ঠানগুলো দক্ষ কর্মী পেতে পারে। জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বিএসএইচআরএম কর্মশক্তির উন্নয়নের ক্ষেত্রে অগ্রগতি অর্জনে সাহায্য করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বিভিন্ন দেশে অবস্থিত হাই কমিশনে মানব সম্পদ পেশাজীবী নিয়োগ দেওয়া অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করেন, যাতে তারা প্রবাসীদের সহায়তা দিতে, দক্ষতা যাচাই করতে এবং কর্মসংস্থান সংক্রান্ত সমস্যাগুলোর সমাধান করতে সক্ষম হবেন। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সাথে অংশীদারিত্ব করে দক্ষতা উন্নয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করার প্রস্তাবও করেন। মানব সম্পদ—এর সর্বোচ্চ এবং সর্বোত্তম ব্যবহারের জন্য একটি পৃথক মানব সম্পদ মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়ে বরাবরের মতো বিএসএইচআরএম এর পক্ষে বিশেষ গুরুত্বারোপ করে বলেন এই মন্ত্রণালয় জাতীয় উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন সেক্টরে মানব সম্পদের উন্নয়ন, ব্যবহার এবং ব্যবস্থাপনার উপর মনোযোগ দিতে পারবে।
আলচনায় অংশগ্রহণকারী উল্লেখ করেন, দেশের উন্নয়নের মূলে রয়েছে জন সম্পদ। দেশে যত রকম বস্তুসম্পদ এবং সম্ভাবনা থাকুক না কেনো, মানুষ এ সম্পদ আহরণ এবং উপযোগী করে তুলতে না পারলে আসল উন্নয়ন থেকে দেশ বঞ্চিত থাকবে। মানবসম্পদ উন্নয়নে যদি সঠিক পদক্ষেপ না নেয়া হয়, তাহলে দেশের উন্নয়ন থমকে যাবে। শিক্ষার মান বাড়ানো, প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন করতে হবে। তারা বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা বলেন, যাতে ছাত্র ও তরুণদের উন্নয়নে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়। নতুনদের অভিজ্ঞতা এবং উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা নতুন বাংলাদেশের গড়তে সহায়ক হবে। দেশে বর্তমানে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেমন শিক্ষার মান উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, এবং সামাজিক সাম্য প্রতিষ্ঠা। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের ছাত্রসমাজ, তরুণরা এবং সাধারণ জনগণের ভূমিকা অপরিসীম। তাই আলোচনার বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে মানব সম্পদ উন্নয়নের বিষয়টি যাচাই করা অত্যন্ত জরুরি বলে বক্তারা মনে করেন।