জানা অজানা ডেস্ক, ১৫ নভেম্বর, ২০১৯ইং, এইউজেডনিউজ২৪ : যু্ব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, কবি আফতাব আহমেদের সঙ্গে ৭ বছরের পরিচয়ের সুত্র ধরে ভালোলাগা এবং ভালবাসায় একাকি জীবনের ইতি টানলেন প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের সহধর্মিণী গুলতেকিন। বিয়ে করেছেন গুলতেকিন। জীবনকে গুরুত্ব দেয়ার সাহস দেখিয়েছেন প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের সাবেক সহধর্মিণী। সপ্তাহ দুয়েক আগে বিয়ে করলেও বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন। হুমায়ুন আহমেদের জন্মদিবসে খবরটি প্রকাশ্যে এলো। ৫৬ বছর বয়সের গুলতেকিন। তার আছে বড় ছেলে মেয়ে নাতি। তেমন নারীর বিয়ে এ সমাজ দেখতে অভ্যস্ত না হলেও হোক, তিনি তার কষ্ট, আনন্দের সঙ্গী খুঁজে নিয়েছেন। মায়ের বিয়েতে ছিলেন সন্তানরা
গুলতেকিন জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদের প্রথম স্ত্রী ছিলেন। হুমায়ূন শাওনকে বিয়ে করার আগে তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে। তারপর সন্তানদের নিয়েই জীবন কাটছিল গুলতেকিনের। ১৯৭৩ সালে হুমায়ুন আহমেদের সঙ্গে প্রেম ভালবাসার বিয়ে হয় গুলতেকিনের। তাদের দাম্পত্য জীবনে তিন মেয়ে দুই ছেলের জন্ম হয়। ১৯৯০ সালের মধ্যভাগে মেয়ে শীলা আহমেদের বান্ধবী অভিনেত্রী শাওনের সাথে পরিচয় হয়। প্রনয়নের পর ২০০৫ সালে হুমায়ুন আহমেদ বিয়ে করেন শাওনকে।
তারপর থেকেই গুলতেকিন তার একাকিত্ব জীবন শুরু করেন।
সূত্র আরও জানায়, গত সাত থেকে আট বছর ধরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিব কবি আফতাব আহমেদের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। এ বন্ধুত্ব ধীরে ধীরে গভীর সখ্যতা থেকে প্রেমে গড়ায়। নিয়মিত সন্তানদের নিয়েও আফতাব আহমেদের সঙ্গে তার সুন্দর সময় কাটতে থাকে। এদিকে আফতাব আহমেদের সঙ্গে ১০ বছর আগে তার ব্যারিস্টার স্ত্রীর বিচ্ছেদ ঘটে। তার একমাত্র সন্তান লন্ডনে লেখাপড়া করছেন।
২৫ অক্টোবর গুলতেকিন তার ফেসবুক পেজে যৌথ ঘোষণা শিরোনামে ‘এবার বাতাস উঠুক তুফান ছুটুক’ স্ট্যাটাস দেন। এতে তার প্রিয়জনরা তাকে অভিনন্দিত করেন এবং তার ভালোবাসাময় জীবনের শুভ কামনা করে অসংখ্য মন্তব্য করেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের শিক্ষক হুমায়ূন আহমেদকে বিয়ে করেছিলেন গুলতেকিন। পরে ২০০৩ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়। তাদের ঘরে এক পুত্রসহ তিন কন্যা সন্তান রয়েছেন। ২০১২ সালে হুমায়ূন আহমেদ ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে ইন্তেকাল করেন। সূত্র : দৈনিক যুগান্তর ও আমাদের সময়