কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজারের পেকুয়ার দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় সন্ধান মিললো অস্ত্র তৈরীর কারখানার। কারখানাটিতে তৈরী অস্ত্র সরবরাহ করা হতো স্থানীয় সন্ত্রাসী ও জলদস্যুদের কাছে।
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের পেকুয়ার সীমান্তবর্তী গহীন পাহাড়ি এলাকায় র্যাবের একটানা ৪৮ ঘন্টার অভিযান চলে বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) গভীররাত পর্যন্ত। অনেকটা জনমানবশূন্য এই পাহাড়ে অভিযানের কথা টের পেয়ে মূল হোতা হামিদ পালিয়ে গেলেও উদ্ধার করা হয় বেশকিছু আগ্নেয়াস্ত্র ও অস্ত্র তৈরীর সরঞ্জাম। আটক করা হয় অস্ত্র তৈরীর তিন কারিগরকে।
র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল এম এ ইউসুফ বলেন, মঙ্গলবার রাতে হামিদের মূল বাসস্থান থেকে আমরা ৮টি অস্থ উদ্ধার করি। এর মধ্যে ৬টি একদমই নতুন। সম্ভবত তারা এটি বিক্রির উদ্দেশ্যে রেখেছিল। তখন আমরা ২জনকে আটক করতে পারে, এরপর মূল কারিগর আমিরুলকে আমরা গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই।
র্যাব আরও জানায়, সম্প্রতি গ্রেপ্তার হওয়া কবির বাহিনীসহ বিভিন্ন জলদস্যূ ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কাছে অস্ত্র সরবরাহ করতো হামিদ ও তার সহযোগীরা। জলদস্যুতার পাশাপাশি এখানকার অস্ত্র ব্যবহার হতো রাজনৈতিক সহিংসতায়ও।
স্থানীয় টইটং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবদুল জলিল জানান, এখানকার অস্ত্র কারবারিদের অত্যাচারে রীতিমতো তটস্থ থাকতে হতো। তাই মূল হোতাসহ এই বাহিনীর সবাইকে গ্রেপ্তারের দাবি তাদের।
অনেকটা দুর্গম ও জনবসতিহীন এই পাহাড়ি এলাকায় গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে আস্তানা গেড়ে রেখেছিলো অস্ত্র তৈরীর কারিগর হামিদ। যার কারখানায় তৈরী অস্ত্রের ঝনঝনানিতে শুধু আশপাশের জনপদই নয়, অশান্ত হয়ে উঠেছিলো এখানকার পাহাড়ি জনপদ, এমনকী সাগরও।