বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: ইন্টারনেট এখন সবার নিত্যদিনের সঙ্গী। ইন্টারনেটের জালে আবদ্ধ গোটা বিশ্ব। সময়ের সেরা এ প্রযুক্তির ব্যবহার আরও সহজ ও জনপ্রিয় করেছে ওয়াই-ফাই কানেকশন। যা এখন মুদি দোকান থেকে শুরু করে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে ব্যবহার হচ্ছে। কিন্তু ওয়াই-ফাই আমাদের শরীরের জন্য কতোটা ক্ষতিকর তা আমরা কখনো কী ভেবে দেখিছি?
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতালের (এনআইএনএইচ) পরিচালক ডা. ফারুখ আহমেদে চ্যানেল 24 অনলাইনকে বলেন, ওয়াই-ফাই কানেকশনের ডিভাইজ খুব কাছাকাছি থাকার ফলে ধীরে ধীরে মানুষের মনোযোগের সমস্যা সৃষ্টি করে। এছাড়া ঘুমের মারাত্মক ব্যাঘাতও ঘটে। এতে করে মাথায় যন্ত্রণা, মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া এবং ব্রেন টিউমারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এছাড়া ওয়াই-ফাই ব্যবহারে বেড়ে যায় হৃদরোগের ঝুঁকি। ‘ইউরোপিয়ান সোসাইটি অব কার্ডিওলজি কংগ্রেস’ সাম্প্রতিক প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে জানায়, পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়ার কারণে প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ হৃদ্যন্ত্রের সমস্যায় ভুগছেন।
এদিকে ব্রিটিশ স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণা অনুযায়ী, রাউটার বা ওয়াই-ফাই ব্যবহারের ফলে মানুষ, এমনকি গাছপালার বিকাশেও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে।
ওয়াই-ফাই আমাদের কি ভাবে ক্ষতি করে
মডেমের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন মানব শরীরের জন্য ক্ষতিকর। কেউ যখন ওয়াই-ফাই সিগন্যাল সার্চ করেন তখন তরঙ্গ চলাচল করার সময় তার আশে পাশে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি করে, যার থেকে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন উৎপন্ন হয়। ওয়াই-ফাই সিগন্যাল আপনার ত্বক ভেদ করে শরীরের ভেতরে চলে যায়।
যদিও বর্তমান বিশ্বে এই প্রযুক্তি ব্যবহার থেকে বিরত থাকা সম্ভব নয়, তাই ওয়াই-ফাই রাউটার ব্যবহারে কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত, যার মাধ্যমে এর ক্ষতিকর প্রভাব এবং সাইড ইফেক্ট অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব বলে জানান এনআইএনএইচ’র পরিচালক ডা. ফারুখ আহমেদে।
ওয়াইফাই ব্যবহারে সচেতনতা
# ঘুমানোর আগে রাউটার, মডেম ও অন্যান্য ইন্টারনেট ডিভাইস বন্ধ করুন।
# শিশুদের হাতে ডিভাইস দেয়ার আগে ফ্লাইট মোডে রাখুন।
# শুধুমাত্র প্রয়োজনের সময় ওয়াইফাই অন করুন। কাজ শেষে বন্ধ করে দিন।
# শিশু ও গর্ভবতী নারীদের এসব ডিভাইস ও সংযোগ থেকে দূরে রাখুন।