আবহাওয়ার পরিবর্তন ডেস্ক: ওমানে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় শাহীন আছড়ে পরায় চারজন নিহত হয়েছে। রোববার দেশটির উপকূলে এ শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশটির রাজধানী মাস্কাট বিমানবন্দরে বিমান উড্ডয়ন বিলম্বিত হচ্ছে। খবর রয়টার্সের
এদিক ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকা থেকে বাসীন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় নিউজ এজেন্সির বরাদ দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, পানিতে ভেসে গিয়ে দুইজন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে, অন্য শিশুটি নিখোঁজ রয়েছে। এছাড়া সমুদ্র তীরবর্তী একটি শিল্প এলাকায় পাহাড় ধসে দুইজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তাৎক্ষণিক তাদের পরিচায় পাওয়া যায়নি। তবে তারা এশিয়ার বলে জানা গেছে।
দেশটির আবহাওয়া অফিস ও সিভিল এভিয়েশন জানায়, মাস্কাট থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে এ ঝড় বয়ে যাচ্ছে। ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার। যা ধমকা ও ঝড়ো হাওয়ার ফলে গতিবেগ আরও বেড়ে যাচ্ছে।
দেশটির ঘূর্ণিঝড় পূর্ভাবাস কেন্দ্র ধারণা করেছিল, ঘূর্ণিঝড় শাহীন স্থায়ীয় সময় বিকালের মধ্যে আঘাত হানবে। কিন্তু বিকালের আগেই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে।
এদিকে দেশটির জাতীয় জরুরি কমিটি দুর্ঘটনা এড়াতে রাজধানীর পূর্বে আল-কুরমে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। এছাড়া ওই এলাকা থেকে ২ হাজার ৭০০ জনকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বিশ্বের মধ্যে অন্যতম তেল রপ্তানিকারক দেশ ওমান। দেশটির রাজধানী মাস্কাটের আশেপাশে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ বসবাস করে। ঘূর্ণিঝড় শাহীনের কারণে দেশটির রাস্তাঘাটগুলো বন্ধ রয়েছে। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কোনো গাড়ি চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। ঝড়টি দুর্বল না হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রাখা হবে।