দেশে বিনিয়োগের বহুমুখী সুযোগ থাকলেও প্রতিটি ক্ষেত্রেই রয়েছে আলাদা ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ। কেউ শেয়ার বাজারে ঝুঁকি নিয়ে ভালো মুনাফা করছেন, আবার কেউ সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসেছেন। অন্যদিকে অনেকেই উচ্চ সুদের প্রলোভনে সমবায় সমিতিতে বিনিয়োগ করে প্রতারিত হচ্ছেন বারবার।
মূল্যস্ফীতি আর টাকার ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়ায় এখন ব্যাংকে টাকা রেখে লাভের চেয়ে লোকসানের আশঙ্কাই বেশি। শহরাঞ্চলে জমি কিনতে গেলে ঝুঁকি আরও বাড়ে নিষ্কণ্টকতা যাচাই নিয়ে।
এই প্রেক্ষাপটে তুলনামূলকভাবে সবচেয়ে নিরাপদ ও লাভজনক বিকল্প হয়ে উঠছে সরকারি সঞ্চয়পত্র। যদিও আগে যেকোনো অঙ্কের সঞ্চয়পত্র কেনা যেত, এখন পাঁচ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ করতে হলে লাগবে ই-টিআইএন। সরকারের সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী:
পাঁচ বছর মেয়াদী সঞ্চয়পত্রে সুদহার এখন ১২.৩৭% থেকে ১২.৪০%।
তিন মাস মেয়াদী সঞ্চয়পত্রে প্রথম মেয়াদ শেষে সুদ ১২.৩০% থেকে ১২.৫০%।
পেনশন স্কিমে ৭.৫ লাখ টাকার নিচে হলে সুদ ১২.৫৫%, এর বেশি হলে ১২.৩৭%।
পারিবারিক সঞ্চয়পত্রে সুদ ১২.৫০%।
তবে কেউ কেউ সংসার চালাতে বাধ্য হয়ে সঞ্চয়পত্র ভাঙছেন। আবার অনেক মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণি সংসার চলার পরও অতিরিক্ত আয়ের জন্য সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করছেন, কারণ এটিই এখন সবচেয়ে নিরাপদ এবং লাভজনক উপায়।
অন্যদিকে ব্যাংকের এফডিআরেও কিছুটা ঝুঁকি থেকে যায়, বিশেষ করে যেসব ব্যাংক বেশি সুদ দিচ্ছে, সেগুলোর আর্থিক স্বাস্থ্য দুর্বল হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। সারসংক্ষেপে, বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় সঞ্চয়পত্রই হয়ে উঠছে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ এবং কার্যকর বিনিয়োগের মাধ্যম।