২৪ ঘণ্টা পার হলেও সুন্দরবনে লাগা আগুন এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। রোববার (৫ মে) বিকেলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, আগুনে সুন্দরবনের প্রায় দেড় বর্গ কিলোমিটার জায়গা পুড়ে গেছে। ইতোমধ্যে সুন্দরবন রক্ষায় বিমানবাহিনী প্রধানের সার্বিক নির্দেশনায় ৩১ নম্বর বহর থেকে একটি এমআই ১৭১ এরিয়াল ফায়ার ফাইটিং ক্যাম্পবেল হেলিকপ্টার নিয়ে ছয়জন এয়ার ক্রু এবং ৭ জন গ্রাউন্ড ক্রুসহ মোট ১৩ জনের একটি টিম মংলায় অবতরণ করেছে। তারা প্রায় ৪ ঘণ্টায় ফায়ার বাকেট অপারেশন করে ৪০ হাজার লিটার পানি নিক্ষেপের মাধ্যমে আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করে।
এই চ্যালেঞ্জিং মিশনের নেতৃত্ব দেন ৩১ সম্বর বহরের অধিনায়ক উইং কমান্ডার এস এম রাজিবুল ইসলাম। পাশাপাশি তার সঙ্গে ছিলেন উইং কমান্ডার তানিম, স্কোয়াড্রন লিডার মেহেদী এবং স্কোয়াড্রন লিডার সাদমান। এছাড়া অন্যান্য বাহিনী এবং সংস্থাসমূহের সঙ্গে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় অল্প সময়েই আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে।
এদিকে, আগুন লাগার কারণ, কী পরিমাণ এলাকায় আগুন লেগেছে ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বনবিভাগ। চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক রানা দেবকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। এছাড়া কমিটির অন্য দুজন সদস্য হলেন- জিউধারা স্টেশন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান ও ধানসাগর স্টেশন কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।